সহজে ভাঙতে নারাজ হান, ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন গোয়েন্দারা

মালদহের কালিয়াচক থেকে ধৃত চিনা নাগরিককে জেরার পর একের পর এক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যদি এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাননি গোয়েন্দারা। তার মধ্যেই এক গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন কিভাবে ভারতের ঢুকলেন ওই চীনা নাগরিক? সেই গোপন রাস্তার সন্ধান পেতে ফের নতুনভাবে তদন্তে নামলেন গোয়েন্দারা। ধৃতকে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হলো। কিন্তু তাতেও সহজে ভাঙছেন না ওই চিনা নাগরিক হান। তাই ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারীরা ।
বৃহস্পতিবার হানকে পৃথক ভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করে এসটিএফ। রবিবারও হানকে নিয়ে গিয়ে একবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল পুলিশ। এসটিএফও পুনর্নির্মাণ করে স্পষ্ট হান নিছক ঘুরতে আসেননি, বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েই ভারতে আসেন তিনি। এসটিএফ জানিয়েছে, হান ছক কষেই বাংলাদেশের চাঁদপাড়া গ্রাম দিয়ে কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুরে আসেন। তাঁকে দুই দেশের ‘লাইনম্যান’রা সাহায্য করেছেন। ‘লাইনম্যান’ সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে নারাজ হান।

পুলিশের দাবি, হানের সঙ্গে চিনের সেনাবাহিনীরও যোগ রয়েছে। সেনার প্রশিক্ষণও নেওয়া রয়েছে তাঁর। সেই কারণে দফায় দফায় জেরা করা হলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। তাঁর শরীরে মাইক্রো চিপ লুকোনো থাকতে পারে বলেও ধারণা এসটিএফের। সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হানকে আজ কলকাতায় নিয়ে এসে শরীরের সিটি স্ক্যান করানো হবে ।শুক্রবার হানকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এসটিএফ। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা হবে।
পুলিশ ও রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)।ম কথায়, ভারতের খাদ্যাভাসে যেমন হান অভ্যস্ত, তেমনই ভাষা সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে তাঁর। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন তিনি।