অবশেষে মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল মালদহে (Maldah) একই পরিবারে খুন হওয়া চারজনের দেহ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মা-বাবা-দিদা ও বোনকে কোনওভাবে অজ্ঞান করেছিল মালদহের কালিয়াচকের ধৃত যুবক আসিফ মহম্মদ (Asif Md)। তার পরে সকলকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুঁতে দিয়েছিল বাড়ির ভিতরের একটি ঘরের মেঝেয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে ওই বাড়িতে ঢুকে ধৃতকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে মাটি খুঁড়ে চারটি দেহই পুলিশ উদ্ধার করেছে। দেহগুলিতে পচন ধরে গিয়েছে। পলিথিনে মুড়ে তা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medical College Hospital) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সময়ে আসিফের দাদা আরিফও বাড়িতে ছিল বলে পুলিশ জেনেছে। তা হলে আরিফ কেন বধা দেয়নি? আরিফের দাবি, সে সময়ে তাঁকেও প্রাণে মারার চেষ্টা করে আসিফ। তাই কোনমতে বাড়ি ছেড়ে পালাতে পালিয়ে যান আরিফ। অবশেষে দুদিন আগে এলাকায় ফিরে আরিফ জানতে পারেন তাঁদের বাড়িটি বিক্রি করা হবে। তখনই তিনি লিখিতভাবে পুলিশকে সব জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন-জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মৃত আসলে জীবিত!

মালদহ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, দেহগুলি ফরেনসিক (Forensic) পরীক্ষা করানোর পরে মৃত্যু সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে। আরিফ কেন এতদিন চুপ করেছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর তিনেক আগে আসিফ ৭ লক্ষ টাকা দেনা করে বাড়িতে চাপ দেয়। সে সময়ে তাঁর বাবা সেই দেনা মিটিয়ে দেন। নানা সময়ে আসিফ টাকার জন্য চাপ দিত। গত ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় সে বাড়িতে চাপ দিয়ে সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছিল বলে একটি সূত্রে পুলিশ জেনেছে।
এই সব ঘটনা আসিফ একা ঘটিয়েছে নাকি কোনও চক্র আড়ালে রয়েছে তাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। সেই সঙ্গে আসিফের দাদার ভূমিকা নিয়েও যে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তারও জট ছাড়াতে তাঁকে জেরা করছে পুলিশ।
