কুলতলিতে ইয়াস বিধ্বস্ত মানুষের পাশে বারুইপুর হাইস্কুলের প্রাক্তনীরা

ঠিক যেন একবছর আগের বিশের বিষময় অভিশপ্ত স্মৃতি।

একদিকে করোনা (Corona) মহামারি (Pandemic), অন্যদিকে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় (Super Cyclone) আমফান (Amphan)। মহামারি আছে মহামারিতেই, এবার ঘূর্ণিঝড় নাম পরিবর্তন করে ইয়াস (Yaas)। এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহু মানুষ। জল নেই, খাবার নেই। সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষের জীবন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় বহু সংস্থাই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। মানুষের কঠিন সময়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেক এনজিও কাজ করছে। বহু মানুষ নিজের চেষ্টায় টাকা তুলে খাদ্যসামগ্রী কিনে পৌঁছে যাচ্ছেন ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে। সরকার নিজের মতো করে যা করার করছেন। তার সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই এই সব সংস্থাগুলির। ব্যক্তি বিশেষেও অনেকেই এগিয়ে আসছেন, কাজ করছেন। তেমনই ইয়াস আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য বারুইপুর হাইস্কুলের (Baruipur High School) ১৯৯১ ব্যাচের প্রাক্তনীরা।

 

আমফানের সময়েও এই সংস্থা কাজ করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইয়াসেও পিঁছিয়ে থাকলেন না তাঁরা। কুলতলিতে বনদফতরের সহায়তায় অসহায়-দুর্গত মানুষের পাশে ” BHS 91″. বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা আজ নিজেদের পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁরা নিজেরাই চাঁদা তুলে অসহায় মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কুলতলির দেউলবাড়ি অঞ্চলের মন্ডল পাড়াতে প্রায় ২৫০টি দুর্গত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বারুইপুর হাইস্কুলের প্রাক্তনীরা। সাধ্যমতো পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হলো চাল, ডাল, তেল, আলু, ORS, মিল্ক পাউডার, সোয়াবিন, ব্লিচিং পাউডার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বিস্কুট-সহ শুকনো খাবার।

আরও পড়ুন- দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ

 

Previous articleদিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ
Next article‘যে দিন নিজের খিদে শেষ হয়ে গিয়েছে বুঝবো, সেদিন খেলা ছেড়ে দেব’, বললেন অশ্বিন