সুইস ব্যাংকে বিপুল ভারতীয় অর্থ, চাপের মুখে কেন্দ্র জানালো কালো টাকা নয়

সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ২০২০-তে ২০,৭০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। গত ১৩ বছরে যা সর্বোচ্চ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছে বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রের তরফ এ বিবৃতি দিয়ে জানানো হলো, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে, কিন্তু এ দেশ থেকে সুইস ব্যাংকে কালো টাকা জমার পরিমাণ বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফের জানানো হয়েছে, সুইত্‍জারল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে বিশদ তথ্য চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ ও ২০১৯ এই দুই বছরসুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ব্যাপক হারে কমে আসে। তবে ২০২০ সালে সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে ২৮৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বাড়লেও কালো টাকা জমার পরিমাণ বাড়ার কোনও যুক্তি নেই। কারণ ভারত-সুইত্‍জারল্যান্ডের মধ্যে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদানেরও চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির জেরে সুইস ব্যাংকে কালো টাকা জমা রাখার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয় সুইস ব্যাংকে কালো টাকা জমার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। ফলে গচ্ছিত অর্থ বাড়লেও কালো টাকা জমার সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন:ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি, মণিপুর, অরুণাচল

আরও স্পষ্ট করে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, নানান কারণে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের টাকা জমার পরিমাণ বাড়তে পারে। ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংক গুলির ভারতীয় শাখাতেও জমানো অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে। ভারতীয় ও সুইস ব্যাঙ্কের মধ্যে লেনদেন বৃদ্ধির মতো নানা কারণও থাকতে পারে। ফলে ওটা যে কালো টাকা তাই কখনও বলা যায় না। আসল কারণ জানতে ইতিমধ্যেই সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে বিশদ তথ্য চাওয়া হয়েছে।

Previous articleভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি, মণিপুর, অরুণাচল
Next articleথানাতেই প্রাণ হারালেন এক মহিলা, পুলিশের মারধরেই মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের