স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক শেষে সম্প্রতি রাজভবনে ফিরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। এরপরই রবিবার হঠাৎ রাজভবনে রাজ্যপাল সাক্ষাতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তাঁর হঠাৎ এই সাক্ষাৎ নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে সম্পূর্ণ গোপনে রবিবার রাজ্যপাল ও শুভেন্দু অধিকারীর এই সাক্ষাৎ হয়। বৈঠকের পর সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ টুইট করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। একই সঙ্গে হিংসা ইস্যুতে ফের সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।

রবিবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল, টুইটারে তিনি লেখেন, রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে আজ কথা বলতে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু সাক্ষাতের সেই ভিডিও পোস্ট করেন ধনকড়। পাশাপাশি আরও একটি টুইটে রাজ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এই টুইটে রাজ্যপাল অভিযোগ তোলেন, রাজ্য মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত হচ্ছে না। গ্রেফতার করা হচ্ছে না অপরাধীদের। পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বলে জানান ধনকড়। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভুয়ো মামলায় অনেককে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন রাজ্যপালের কাছে।


LOP alleged complicity of state machinery @WBPolice @KolkataPolice in perpetration of gruesome violations of human rights. In barbaric and dastardly criminal acts there has been no investigation, much less arrest of culprits @MamataOfficial. pic.twitter.com/zRf3AKB9US
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 20, 2021
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের দিল্লি সফরের কথা আচমকা ঘোষণা করা হয়েছিল রাজভবনে তরফে। সেখানে কী বিষয়ে আলোচনা হবে সেটাও খোলসা করেননি ধনকড়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দু’দফার বৈঠকে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। দিল্লি পর্ব সেরে এদিন রাজ্যে ফেরার পর ফের সাতদিনের জন্য দার্জিলিং যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এমন ঠাসা কর্মসূচির মাঝে রাজভবনের হঠাৎ শুভেন্দুর উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলে।
