কালিয়াচকে মা-বা-বোন ও দিদাকে খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসিফ (Asif) তার কম্পিউটার থেকে নিযমিত সেক্স চ্যাট করত বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন পুলিশ। জেরার মুখে আসিফও তা কবুল করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুধু তা-ই নয়, আসিফ তার দাদা আরিফকেও (Arif) এই ধরনের ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল (Blackmail) করত বলে সন্দেহ। পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আরিফে। তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে আসিফ দাদাকে ব্ল্যাকমেইল করে মুখ বন্ধ করিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ।

পুলিশ অবশ্য আরিফের কাছ থেকে পাওয়া সব তথ্যই আদালতের সামনে রাখতে চায়। সূত্র অনুযায়ী, আরিফকে জেলা আদালতের বিতচারকে সামনে নিয়ে ১৬৪ দারায় গোপন জবানবন্দি দেওয়ানো হতে পারে। তেমন হলে আরিফকে রাজসাক্ষী করার কথাও ভাববে পুলিশ।

গত শনিবার কালিয়াচক (Kayachak) থানায় আসিফের দাদা অভিযোগ করেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বাবা-মা-বোন ও দিদাকে আসিফ খুন করে বাড়ির মধ্যে পুঁতে রেখেছে। এমনকী, তাঁকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় খাইয়ে মারতে চেয়েছিল বলে আরিফ অভিযোগ করেন আরিফ। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পরিমাণ কম হওয়ায় আরিফ জেগে কোনোমতে পালিয়ে যান। তার পর থেকে তিনি বিহারে এক মামার বাড়িতে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, আসিফের এক মামাও পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে বাইরের কেউ ঢুকলে আসিফ লাঠি নিয়ে তাড়া করত। পুলিশ জানতে পেরেছে, আসিফ যেভাবে দরজা-জানালা-ঘুলঘুলি বিহীন গুদাম ঘর বানিয়েছে তা রহস্যজনক। এরকম শ্বাসরোধকারী ঘর বা গুদাম সাধারণত মিস্ত্রিরা বানান না। কারণ, তা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে বলে রাজমিস্ত্রিরা এড়িয়ে যান। আসিফের বাড়িতে ওই ঘর তৈরির কাজ কারা করেছে তা পুলিশ খুঁজে বার করতে তদন্তে নেমেছে।প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, এলাকার কোনও রাজমিস্ত্রি ওই গুদাম বানাননি। তবে আসিফের বয়ানে চূড়ান্ত অসঙ্গতি রয়েছে।
