‘বিবাহ’ নিয়ে অসত্য ‘তথ্য, নুসরতের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে চিঠি লোকসভায়

সাংসদ হওয়ার পর লোকসভায় শপথগ্রহণের সময় নিজের সম্পর্কে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ( false information) পরিবেশন করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (nusrat jahan)। জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর এই ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে নুসরতের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুললেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য (sanghamitra mourya)। জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিজের সম্পর্কে অসত্য ভাষণের জন্য অভিনেত্রী সাংসদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন বিজেপির মহিলা সাংসদ। তিনি বলেন, নুসরত যা করেছেন তা অনৈতিক ও বেআইনি। এই বিষয়ে সংসদের এথিকস কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

গত ১৯ জুন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন সাংসদ সংঘমিত্রা মৌর্য। চিঠির সঙ্গে তিনি নুসরতের শপথের প্রতিলিপিও জুড়ে দেন, যেখানে তাঁর স্বামীর নাম বলা হয়েছিল নিখিল জৈন। এই চিঠিতে সঙ্ঘমিত্রা লিখেছেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে নুসরত জাহান নিজের বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়ে যা বলেছেন তা লোকসভায় শপথ গ্রহণের সময় তিনি যে তথ্য দিয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ উল্টো। এক্ষেত্রে তাঁর সদস্যপদ আইনের চোখে খারিজযোগ্য। সংঘমিত্রা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২৫ জুন নুসরত জাহান শপথ নেওয়ার সময়ে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন নুসরত জাহান রুহি জৈন। হিন্দু নববধূর বেশে তিনি হাজির হয়েছিলেন সংসদে। এমনকি সেই সময় সিঁদুর পরার কারণে তাঁকে একাংশের মুসলিম মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। সেই সময়ে দলমত নির্বিশেষে সব সাংসদ নুসরতের পাশেই ছিলেন। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, নুসরতই ভুল তথ্য পরিবেশন করে সকলকে বিভ্রান্ত করেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসাবে এই আচরণ অসৎ ও গর্হিত।

সংঘমিত্রা মনে করান, নুসরতের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। এই বিজেপি সাংসদের কথায়, সাধারণভাবে কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নাক গলানো উচিত নয়। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি সম্প্রতি মিডিয়ায় যা বলছেন তার অর্থ তিনি সংসদে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। লোকসভায় দাঁড়িয়ে সচেতনভাবে মিথ্যে কথা বললে সংসদ এবং তার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়। এজন্যই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টে নারদ- মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু