ভোট মিটে গিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়ে গিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। কিন্তু তাও ভোট পূর্ববর্তী জোট নিয়ে এখনও জট কাটলো না বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের (Left-Congress-Isf)। কংগ্রেস ও আইএসএফে পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ভোট পর্যালোচনার খসড়া রিপোর্টে একথা জানিয়েছে সিপিআইএম (Cpim)। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) দাবি করেন, আইএসএফের সঙ্গে তাঁদের কোনও জোট ছিল না। এবার তার পাল্টা মুখ খুলেছে আইএসএফ। দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naoshad Siddique) প্রশ্ন তোলেন, জোট না হলে প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya) ও আবদুল মান্নানরা (Abdul Mannan) কেন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন?

কংগ্রেস-আইএসএফ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে ব্রিগেড সমাবেশেই। আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddique) মঞ্চে উঠতেই ভাষণ অসমাপ্ত রেখে পোডিয়াম ছাড়তে উদ্যত হন অধীর। কোনওক্রমে তাঁকে শান্ত করেন বিমান-সেলিমরা। এরপর আব্বাস তাঁর ভাষণে নাম না করে বিঁধেছিলেন কংগ্রেসকে। তখনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দেন, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফন্টের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি, বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছে তাঁদের। ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,”সিপিএমের বিবৃতিতে কী রয়েছে তা জানি না। আমরা ভোটের আগে জানিয়েছিলাম আইএসএফের সঙ্গে জোট হয়নি। ভোটের পর বা হারার পর এটা বলছি না। কংগ্রেস আইএসএফের সঙ্গে ছিল না, এখনও নেই। আগামী দিনেও থাকবে না।”

অধীরের এই বক্তব্যের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বলেন, বৈদ্যবাটি ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএমের অফিসে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মান্নান ও প্রদীপরা জানেন জোট হয়েছে কি না। “জোট যদি না-ই হবে বারবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন?”

সামনে পুরসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে ফের জোট জল্পনা ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে কংগ্রেস আইএসএফ-এর মধ্যে।

আরও পড়ুন:‘বিবাহ’ নিয়ে অসত্য ‘তথ্য, নুসরতের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে চিঠি লোকসভায়
