ত্রিপুরার ১৫ হাজার বিজেপি সমর্থক যোগ দিতে তৈরি, দাবি তৃণমূল রাজ্য সভাপতির 

করোনা পরিস্থিতির কারণে গণ যোগদান সম্ভব হচ্ছে না। না হলে ত্রিপুরায় (Tripura) অন্তত ১৫ হাজার বিজেপি (bjp) সমর্থক এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসে (tmc) যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি। চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ত্রিপুরার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি আশিস সিং (ashis singh)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সরকারের প্রশাসনিক অপদার্থতা ও বিজেপি সরকারের অনুন্নয়নে তিতিবিরক্ত হয়ে বিকল্প খুঁজছিলেন রাজ্যবাসী। বাংলায় তৃণমূলের অভূতপূর্ব সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকেই এখন বিকল্প ভাবছেন বিজেপি সমর্থক থেকে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ। আশিসবাবুর দাবি, করোনা পরিস্থিতির আর একটু উন্নতি হলেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি যোগদান পর্ব শুরু হবে। বিজেপি সমর্থক ছাড়াও সমাজের নানা স্তর থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ত্রিপুরায় তৃণমূলে সামিল হবেন। এরপরই খেলা শুরু হবে, মন্তব্য তাঁর। তৃণমূল নেতার দাবি, ত্রিপুরায় যদি বিপ্লব দেব সরকার এভাবেই চলতে থাকে তাহলে ক্রমশ কালাহান্ডি বা সোমালিয়ার মত অবস্থা হবে এই রাজ্যে। বাজেট বরাদ্দ লুটপাট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ দিন কয়েকের মধ্যে তুলে ধরারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। আশিসবাবুর বক্তব্য, বাংলা ও ত্রিপুরার মধ্যে আবহমানকাল ধরে যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, তার ফলে ত্রিপুরাতেও নতুন দিন আসবে।

 

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা বিজেপির বেশ কিছু বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠীর তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে ইতিমধ্যেই মীমাংসাসূত্র খুঁজতে শুরু করেছেন বিজেপির দিল্লির শীর্ষ নেতারাও। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের থেকেই ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। মুকুল রায় ত্রিপুরায় তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। আশিসবাবুর বক্তব্য, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো জনবিরোধী দুর্নীতিগ্রস্ত বিপ্লব দেবের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো।