রাজ্য বিজেপির (bjp) গোপনীয়তা বেআব্রু। আর সে নিয়ে দলের মধ্যেই একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। সরাসরি লড়াই আদি বনাম নব্য।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির পদাধিকারীদের প্রশিক্ষণ শিবির। গোপনীয়তার মোড়কে মোড়া এই বৈঠক। কোভিড আবহে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ শিবির। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের লিঙ্ক ঘুরে বেড়াল এর ওর হাতে, সাংবাদিকদের হাতে। প্রশিক্ষণ শিবিরর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় বাংলাও দেখা যেতেই বোঝা যায় গণ্ডগোল বেধেছে। দেখা যায় বেশ কিছু অদ্ভুত নামও ঢুকে পড়েছে। তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ শিবির বাতিল। শুরু হয়ে যায় কাটাছেঁড়া-ময়না তদন্ত। কার্যত কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বেইজ্জত হতে হয় দিলীপ ঘোষসহ (dilip ghosh) অন্যান্য নেতাদের।

প্রশ্ন হলো কারা এই গোপন লিঙ্ক (secret link) বারওয়ারি করল কে? বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আদি বনাম নব্যদের (old vs new) লড়াই। দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেরই বক্তব্য, দলে সদ্য আসা এক বিধায়ক নিজেকে লার্জার দ্যান বিজেপি মনে করছেন। তাঁর লক্ষ্য বিজেপি সভাপতির পদ। দিলীপ ঘোষসহ আদি বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলতে সেই বিধায়ক এসব করাননি তো! তিনি বড় না দিলীপ ঘোষ, সে নিয়ে কার্যত দলের অভ্যন্তরে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন সুকৌশলে। সেই শিবিরিকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিজেপির মতো শৃঙখলাপরায়ণ দলের (দিসচিপ্লিনেদ) দলের এই অবস্থা কেন? প্রশিক্ষণ শিবিরের কথা গোপন রাখা যাচ্ছে না! শুরু হয়েছে দলীয় তদন্ত। কিন্তু ট্যুইট মাস্টার অমিত মালব্যরা (amit malabya) কার্যত যে ফাঁকা কলসি, তা এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন- তালতলায় একই ফলকে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের সঙ্গে নাম! FIR করলেন বিধায়ক নয়না
