খুলছে রহস্যের জট, কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো IAS-এর আরও ৩ সঙ্গী

ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবকে (Debanjan Dev) জেরা করে ভ্যাকসিন জালিয়াতি কাণ্ডে তার আরও তিন সাগরেদকে গ্রেফতার করলো লালবাজার গোয়েন্দা শাখার (Lalbazar DD) পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শান্তনু মান্না নামে তালতলা থানা এলাকার এক ব্যক্তি রয়েছে। দেবাঞ্জন দেবের হয়ে শান্তনু ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প আয়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিত বলেই জানা যাচ্ছে। এছাড়া ধৃত বাকি দু’জন হলেন শান্তনু দাস ও রবিন সিকদার। এদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভার (KMC) নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের আজ, আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

 

জানা যাচ্ছে, ভুয়ো ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ১৩ জনের বিশেষ টিম ছিল ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের। ওই ১৩ জনের টিমের ১১ জনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই টিমের সদস্যদের চিকিৎসা সম্পর্কে আদৌ কি কোনও ধ্যান-ধারণা ছিল? এরা কী আদপে চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মী বা নার্স? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে কথা বলে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন গোয়েন্দারা।

 

অন্যদিকে, ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে কলকাতার একাধিক থানায় একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থা একের পর এক অভিযোগ দায়ের করে চলেছে। কসবা থানায় আরও তিনটি প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগও দায়ের হয়েছে। প্রথম অভিযোগটি দায়ের করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, ওই সংস্থার ১৭২ জন কর্মীকে টিকা দেওয়ার বিনিময়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব। দ্বিতীয় অভিযোগটি করেছেন একজন কন্ট্রাক্টর। নির্মাণের নাম করে তাঁর থেকে ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল অভিযুক্ত। তৃতীয় অভিযোগটি করেছে একটি ওষুধ সংস্থা। টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই সংস্থার থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল দেবাঞ্জন। অর্থাৎ, ভুয়ো IAS-এর জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল, সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, দেবাঞ্জনের মাথার উপর কোনও প্রভাবশালীর হাত ছিল কি-না!

Previous articleভুয়ো ক্যাম্পে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পুরসভা
Next articleকরোনার ডেল্টা স্ট্রেনই বিশ্বে সবচেয়ে সংক্রামক, ফের সতর্ক করল WHO