দলের দুঃসময়েও দল ছাড়ার কথা ভাবেননি তারা। কিন্তু বিধানসভা ভোটে গো-হারা হারার পর প্যান্ডোরা বক্স খোলা শুরু হয়েছে বিজেপির(BJP)। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল(Asansol) দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলে(TMC) যোগ দিলেন ৩০০০ বিজেপি নেতা কর্মী। একই ছবি দেখা গিয়েছে মালদা হরিশচন্দ্রপুর ও উলুবেড়িয়াতেও। দলত্যাগীদের অভিযোগ, বিজেপি দলটা নীতি আদর্শ ভুলে এখন দুর্নীতির শিখরে উঠেছে। বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আসানসোলে ৫-৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya)। একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ওই একই ছকে প্রার্থীপদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১০-১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কৈলাস। হারের পর আর টিকি দেখা যাচ্ছে না তাঁর। শুধু তাই নয়, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র(Babul Supriyo) বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরাই।

রবিবার আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি বিশেষ যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মদনমোহন চৌবে, BJP-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক ডা. দেবাশিস সরকার সহ প্রায় ৩০ জন নেতা ও ৩ হাজার কর্মী সমর্থক। দলত্যাগ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মদনমোহন চৌবে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় এমন কোনো দুর্নীতি নেই যা বিজেপি করেনি। স্থানীয় নেতৃত্ব কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল কিন্তু কোনো সুরাহা মিলেনি এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। কোন হিন্দিভাষীকে প্রার্থী করা হবে না। স্পষ্টভাবে এমনটা জানিয়ে রীতিমত অপমান করা হয়েছিল আমাদের। এই সকল দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে ও মানুষের জন্য কাজ করতেই আজ তৃণমূলে যোগ দিলাম আমরা।’

আরও পড়ুন:অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজে ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি

পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ডা. দেবাশিস সরকার জানান, “একটা সময় দল যখন শূন্য ছিল তখন থেকে আমরা বিজেপি করি। কিন্তু এখন বিজেপি তার নীতি আদর্শ থেকে সরে গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই ওদের পরিস্থিতি যা তাতে আগামী দিনে দলীয় অফিস খোলার জন্য লোক পাওয়া যাবে না।”
