কোভিডের আবহে ধুঁকছে চন্দ্রকোণার তাঁত ও কাঁসা শিল্প

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের রামজীবনপুর পৌরসভা ৷ পৌর এলাকার ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকশো তাঁতি পরিবারের ৷ হাতে টানা তাঁতের কল টেনেই শাড়ি তৈরি করেন শিল্পীরা ৷  কিন্তু অতি মারি পরিস্থিতিতে বদলে গেছে পুরো চিত্রটাই।
শিল্পীরা জানিয়েছেন, মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অথবা সুতো কিনে শাড়ি তৈরি করতেন তাঁরা ৷ আসলে কোভিড পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন মহাজনরা ৷ মিলছে না প্রয়োজন মাফিক টাকা ৷ বেড়েছে সুতোর দামও ৷ ফলে অতিরিক্ত টাকায় সুতো কিনে শাড়ি বুনতে পারছেন না তাঁতিরা ৷ এর জেরে কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে এলাকার শতাব্দী প্রাচীন কুটির শিল্প ৷
তাঁদের অধিকাংশেরই অন্য কোনও কাজ জানা নেই ৷ কিন্তু বর্তমানে এঁদের অনেকেই সংসার চালাতে অচেনা কাজে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন ৷
দুরবস্থার একই ছবি দেখা যাচ্ছে কাঁসা শিল্পেও ৷ পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু ছোট ছোট কারখানা রয়েছে ৷ সেখানে বাসন-সহ অন্য়ান্য সামগ্রী তৈরি করেন কাঁসাশিল্পীরা ৷ করোনার দাপট ও লকডাউনের জেরে ধুঁকছে সেই শিল্পও ৷ শিল্পীরা জানাচ্ছেন, একদিকে মাটির অভাব, অন্যদিকে ক্রমশ নিম্নমুখী চাহিদা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে ৷

রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত গত শুক্রবার রামজীবনপুরের তাঁত ও কাঁসা শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ পৌঁছে যান দরিদ্র শিল্পীদের দরজায় ৷ শোনেন তাঁদের অভাব, অভিযোগ ৷ আশ্বাস দেন সহযোগিতার ৷

পৌর প্রশাসক নির্মল চৌধুরী জানিয়েছেন, এলাকার যুবদের নিয়ে প্রয়োজনে একটি বিশেষ দল গঠন করা হবে ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার ৷ প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাড়ানো হবে উৎপাদন ৷ তাতে আয় বাড়বে তাঁত ও কাঁসা শিল্পীদের ৷ যুব সম্প্রদায়েরও তখন এই দুই শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়বে ৷

Previous articleজ্বালানির দামে ছ্যাঁকা! কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রোল
Next articleবেনজির বিয়ে সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন, দুই জৈবিক কাজে আপত্তি যুবতীর!