ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তদন্তে ইডি, কলকাতা পুরসভাতেও নিয়মিত যাতায়াত দেবাঞ্জনের!

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এবার তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত সপ্তাহে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তদন্তের দায়ভার নেয় কলকাতা পুলিশ, গঠন করা হয় সিট। যারা এই তদন্তে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার ও দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একাধিক জালিয়াতির প্রমাণ জোগাড় করেছে। এবার এই ঘটনায় তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের কাছে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, কোন কোন থানায়, ক’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে? তদন্তে কী কী তথ্য মিলেছে? এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে ইডি মারফত ই মেল করা হয়েছে।

গতকালই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তরফে এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বিভিন তথ্য জানতে চেয়ে ই-মেল করা হয়। কলকাতা পুলিশকে অবিলম্বে দ্রুত সেই সমস্ত তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জনের গ্রেফতারির পর বিজেপি তথা বিরোধী দলগুলির তরফে ঘটনার সিবিআই বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের দাবি জানানো হয়। যদিও রাজ্য সরকার নিজেদের পুলিশের উপরই ভরসা রাখে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এবার ঘটনার মোড় নিয়ে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা করে তদন্তে নামতে তৈরি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
দেবাঞ্জনের মামলায় রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের নামও জড়িয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো চিঠিতে কেন্দ্রের সংস্থার নাম জোড়ায় বিতর্ক শুরু হয়। তাই এবার ইডির তরফে তদন্তে নেমে মামলার তদন্ত শুরু করতে চাইছে।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) সদর দফতরে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল কসবা কাণ্ডের নায়ক (Kasba Fake Vaccination Camp) দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb)। প্রায় প্রতিদিনই দফতরের কোনও না কোনও অফিসারের ঘরে যেতেন তিনি। গত এক দেড় বছর ধরে সেখানে বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করছেন দেবাঞ্জন। জেরায় এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের কসবার অফিস থেকে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নথিও উদ্ধার হয়েছে। কম্পিউটার থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার আইটি ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন নথিও।কলকাতা পুরসভার এক-দু’জন কমিশনারের ঘরে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। শুধু তাই নয়, পুরসভার সচিবালয়, বিজ্ঞাপন বিভাগ প্রায় রোজই যাতায়াত করতেন দেবাঞ্জন। করোনা কালের মধ্যেই পুরসভায় জাল বিছিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।

Previous articleভোট পরবর্তী হিংসা: দিলীপের মন্তব্যকে ধুয়ে দিলেন কুণাল 
Next articleকৈলাসকে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে নিষেধ বিএল সন্তোষের!