আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন সামান্য হলেও দেশে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কমছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমিতের গ্রাফ নিম্নমুখী। তার মধ্যেই অ্যান্টিবডি ককটেলের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, চারটি হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙুর, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে হবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। তবে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এর প্রয়োগ হচ্ছে। সরকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল নথিভুক্ত করতে চাইছে। পরে করোনা চিকিৎসার প্রোটোকলে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। এটি করোনা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিংবা মৃদু উপসর্গে এর প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক ধৃতিমান মৈত্র জানিয়েছেন, “এটা রাজ্যে ট্রায়ালের ভিত্তিতেই শুরু হচ্ছে। Casirivimab ও Imdevimab মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি কৃত্রিমভাবে ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে। যা নির্দিষ্টভাবে SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়। অ্যান্টিবডি এক ধরনের প্রোটিন। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে নিজে থেকে তৈরি করে। এখনও পর্যন্ত মানবদেহে প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে। এই ককটেলের প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে ৫৯ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। Roche এবং সিপলা এই কোম্পানি এটা তৈরি করেছে। এক একটি ভায়ালের থেকে দু’জন রোগীকে এটি দেওয়া যাবে। এটি মানবদেহে চামড়ার মধ্যে দিতে হবে অথবা ভেনের মধ্যে দিতে হবে।”
আরও পড়ুন-ভুয়ো-ভ্যাকসিন মামলায় CBI-কেও নোটিশ পাঠাতে আবেদনকারীকে নির্দেশ হাইকোর্টের
চিকিৎসক ধৃতিমান মৈত্র আরও জানিয়েছেন, “এটি রোগীর দেহে প্রয়োগ করতে হলে বাড়িতে রেখে প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ, অনেকসময় এই অ্যান্টিবডি দেহে প্রয়োগ করলে অ্যালার্জি হয়। তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে এর চিকিৎসা হয়। এরপর ট্রায়াল হলে আরও ভালোভাবে জানা যাবে। এই ককটেল কতটা কাজ করছে।”
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছিল এই ককটেল।