Sunday, May 4, 2025

‘বিজেমূল’ বলা ভুল হয়েছে, মানুষ নেয়নি আমাদের, কর্মীদের কাছে স্বীকারোক্তি সূর্যকান্তর

Date:

সিপিএম (cpim) সম্বন্ধে রাজনৈতিক মহলে বেশ কয়েকটি বিশেষণ ঘুরে বেড়ায়। কেউ বলেন, জ্যোতিবাবুর (jyoti basu) দলের চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। কেউ বলেন প্রত্যেকবার ওরা নিজেদের ভুল খুঁজে বের করে, আর ফের ঘটা করে সেই ভুল আবার করে। কেউ কেউ তো এও বলেন, জ্যোতিবাবু তো সেই কবে নয়ের দশকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’-এর (historical blunder) কথা বলে গিয়েছিলেন, সেই ট্র‍্যাডিশন সমানে চলছে।

সেই ট্র‍্যাডিশনে পা মেলালেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (cpm state secretary suryakanta mishra)। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী কী ভুল হয়েছিল একুশের বিধানসভা ভোটে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দলের বিধায়ক সংখ্যা ‘শূন্য’তে আনার পর অবশেষে সিপিএমের আত্মোপলব্ধি!

কী কী ভুলের তালিকা সামনে এনেছেন সূর্যকান্ত?

১) বিজেপি (bjp) বিরোধিতায় তাঁদের ঘাটতি ছিল। অর্থাৎ বিজেপি-তৃণমূলকে একাসনে বসানো উচিত হয়নি।

২) দুটি দলকে একাসনে বসাতে গিয়ে ‘বিজেমূল’-এর মতো স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বাম ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়েছেন, কেউ আবার বিরক্তিতে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছেন।

à§©) ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার প্রেক্ষিত বদলে দিতে সরকার বেশ কিছু জনপ্রিয় স্কিম চালু করেছিল। যে স্কিমে মানুষ দারুনভাবে উপকৃত হয়। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে ‘দুয়ারে সরকার’ (duare sarkar), ‘স্বাস্থ্য সাথী’ (sasthya sathi), দিদিকে বলো’কে (didike bolo) নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ যে উপকার পেয়েছে তার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এগুলো মেলেনি। ফলে মানুষ বাম কংগ্রেসকে পরিত্যাগ করেছে।

৪) সূর্যকান্তর অকপট স্বীকারোক্তি, ২০১৪-র লোকসভা এবং ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপির কোথাও একটা অদৃশ্য বোঝাপড়া ছিল বলে মনে হয়েছে। কিন্তু ২০১৯ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিজেপি বিরোধিতায় নামে, প্রবলভাবে নামে। সেখানে কোনও কৃত্রিমতা ছিল না। বামেরা তাদের ব্যঙ্গ করতে গিয়ে মানুষের থেকে নিজেরাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

৫) ভোটের সময় আঘাত পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর হুইল চেয়ার প্রচারকে কটাক্ষ করাও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।

৬) সূর্যকান্ত জানান, দলের বিপর্যয়ের পর বিস্তর গালমন্দ করে বহু চিঠি দলের কাছে আসছে। সেগুলোকে উপেক্ষা করা নয়, গুরুত্ব দিয়ে পড়া হচ্ছে, ইতিবাচক বিষয়গুলোকে আত্মস্থ করার চেষ্টা চলছে।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো আগামিদিনে বামফ্রন্ট (left front) তাদের আন্দোলন-কর্মসূচি চালাবে। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে নয়। কেন? সুর্যর বক্তব্য, মোর্চা থাকবে কিনা সে বিষয়ে বামফ্রন্টে আলোচনা হবে। সেখানে ছাড়পত্র পেলে তবেই পদক্ষেপ। অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চার (left alliance) অস্তিত্ব যে বিলোপ হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।

 

Related articles

সাসপেন্ড সামসেরগঞ্জ থানার অপসারিত ওসি-সহ ২ পুলিশ আধিকারিক

মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ বিরোধী (Protest against WAQF ammendment act) অশান্তির সময়ে সামসেরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি শিবপ্রসাদ ঘোষ (Shiboprasad Ghosh)...

জেল থেকে সেনার তথ্য পাকিস্তানে পাচার! পঞ্জাবে গ্রেফতার ২ চর

ভারতীয় সেনার গোয়েন্দা ব্যর্থতা পহেলগাম হামলায় (Pahalgan attack) যেভাবে প্রকাশ্যে এসেছে তাতে নিরাপত্তা নিয়ে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে...

কোটায় নিটের আগেই আত্মঘাতী মেডিক্যাল পরীক্ষার্থী, ভাড়াবাড়িতে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!

ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার (National Eligibility cum Entrance Test) আগের রাতে গেরুয়া রাজ্যে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। রাজস্থানের কোটা...

রাজ্য পুলিশের অভিযানে বসিরহাটে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার জাল নোট!  

রাজ্য পুলিশের (WB Police) বড় সাফল্য। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat, North 24 Parganas) পুলিশ জেলার মাটিয়া থানা...
Exit mobile version