ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার (National Eligibility cum Entrance Test) আগের রাতে গেরুয়া রাজ্যে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। রাজস্থানের কোটা (Kota, Rajasthan) কি দিন দিন পরীক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়াচ্ছে? রবিবার দেশ জুড়ে চলছে NEET পরীক্ষা। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের ৫০০টি শহরে প্রায় ৫ হাজার ৪৫৩টি সেন্টারে পরীক্ষায় বসেছেন হাজার হাজার তরুণ তরুণী। এনাদের মতোই স্বপ্ন দেখেছিলেন, মধ্যপ্রদেশের এক তরুণী। কিন্তু শনিবার রাত ৯টা নাগাদ কোটায় এক ভাড়াবাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন পরীক্ষার্থী। বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে আরও এক পড়ুয়ার আত্মহননের ঘটনায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত রাজস্থানের কোটায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কোটার প্রশবনাথ এলাকার তরুণী মধ্যপ্রদেশ থেকে কয়েকবছর আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছিলেন নিট-এর প্রস্তুতি নিতে। পড়াশোনার অত্যাধিক চাপ নিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল তাঁর। ন্যাশনাল মেডিক্যাল এন্ট্রান্স এক্সাম পরীক্ষার আগের রাতেই তাই কি জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত?পরিবারের লোকজন রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। কোনও সুইসাইড নোট বা কিছু পাওয়া যায়নি ঘর থেকে। কুনাদি থানার স্টেশন হাউস অফিসার অরবিন্দ ভরদ্বাজ (Arvind Bharadwaj) বলেন “রাত ১০টার দিকে, তাঁর বাবা তাঁকে দেখতে উপরে যান এবং ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আর সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়”। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। চোখের সামনে মেয়ের মৃত্যু দেখার পর শোকে পাথর হয়ে গেছেন তরুণীর মা বাবা। এই ঘটনায় আরও একবার কোটার সিলেবাস, পরীক্ষা ও পড়াশোনার পদ্ধতির দিকে আঙ্গুল উঠছে। আত্মহত্যার ঘটনা আটকাতে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি শাসিত সরকার। কিন্তু আর কতটা বাস্তবায়িত হল? প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারল কি?কোটার বিভিন্ন হস্টেল এবং মেসবাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি বিশেষ যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কেন সম্পূর্ণ করা গেল না? বাবা মার চোখের সামনে ১৮ বছরের তরুণীর নিথর দেহ দেখে এমন অনেক প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে শিক্ষিত মহল। নির্বাক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের সরকার।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–