অভিনন্দন গোস্বামী : রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে….’।
ঠিক শতবর্ষের পরে ১২৮ তম জন্মদিনে ও যাকে নিয়ে আমরা পালন করছি তিনি হলেন কেশব চন্দ্র নাগ। গণিতের স্বপ্নকে যিনি সত্য করেছিলেন- গণিত কথাটি উচ্চারিত হলেই যে নামটি চলে আসে- বিভিন্ন সময় যেই কথাটি বছরের-পর-বছর উচ্চারিত হয়েছে গণিত মানেই কেশব চন্দ্র নাগ। ১০ জুলাই কেশব চন্দ্র নাগ এর জন্মদিন।

কেশব চন্দ্র নাগ এর জন্ম বর্তমান হুগলি জেলার গুড়াপ এর নাগপাড়া তে রথ যাত্রার পবিত্র দিনে। পিতা রঘুনাথ নাগ মাতা খীরোদা সুন্দরী দেবী। ১৯০৫ সালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ভবানীপুরে মিত্র ইনস্টিটিউশন (শাখা) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।যাতে দক্ষিণ কলকাতার শিক্ষার্থীরাও সেই স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারে। ১৯০৬ সালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শিক্ষককে কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। একইভাবে তিনি মিত্র ইনস্টিটিউশনে (শাখা) শিক্ষক আনার চেষ্টা করেছিলেন। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কেশবচন্দ্র নাগএর কথা শুনেছিলেন এবং তাঁকে গণিতের শিক্ষক হিসাবে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে নিয়ে যান । শ্রী নাগ দীর্ঘদিন সহকারি শিক্ষক ছিলেন, মিত্র ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক রূপে অবসর গ্রহণ করেন।

সমকালীন তার বন্ধু ছিলেন বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজ এর অধ্যক্ষ রমাপতি ভট্টাচার্য তিনি বলেছিলেন অংক বৈতরণী পার করতে তাঁর মত দক্ষ নাবিক খুব বিরল।

আরই পড়ুন-করোনার জের : জগন্নাথ দর্শন হবে, রথযাত্রা নয়

বর্তমান দিনেও তিনি বিশেষভাবে চর্চিত। যারা বর্তমান দিনের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাত তাঁরাও পালন করছেন এই ব্যক্তিত্বের জন্মদিন। মিত্র ইনস্টিটিউট কলকাতা আয়োজন করেছে একটি ওয়েব সেমিনার সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ডঃ পার্থ কর্মকার, এডভাইজার সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ওয়েস্ট বেঙ্গল। ডক্টর অনিন্দ্য নারায়ন বিশ্বাস , আইএএস কমিশনের অফ স্কুল এডুকেশন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিত্র ইনস্টিটিউটের একজন প্রাক্তন ছাত্র। তিনি এই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণার কথা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে উল্লেখ করেন।ডক্টর কর্মকার এর স্মৃতিচারণ অংক শিখতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নাগ মহাশয় এর অনুষঙ্গ তার বক্তব্যের মধ্যে ধরা পড়ে। প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন ধরনের বিষয় যেমন তেল মাখানো বাঁশের অংক এছাড়াও আরও অনেক ধরনের সহজ পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে ছাত্রদের সামনে তুলে ধরেন। তার এই ব্যস্ততার মুহূর্তে তিনি সময় বের করে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আজকের দিনটির অনেকখানি সময় দেওয়াতে অনুষ্ঠানটি একটি বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিত্র ইন্সটিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক রাজা দে ও বিশিষ্টজনেরা।সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় সকল স্তরের অনুষ্ঠানে সাহায্যকারী মাস্টারমশাই ও টেকনিকেল অফিশিয়াল দের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন প্রসেনজিৎ দে। অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ছিলেন লায়ন্স ক্লাব অফ কলকাতা অ্যাক্যাডেমিয়া ও মিত্র ইনস্টিটিউট ভবানীপুর।গণিতের জগতে কেশব চন্দ্র নাগ এর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
