ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে কুসংস্কার। আর এই কুসংস্কারের জন্যই প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। সাপে কামড়ানোর পর হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে চলল ওঝার ঝাড়ফুঁক। শেষপর্যন্ত অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়।

জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সমীর পাড়ুই (৪০)। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকার বাসিন্দা বছর চল্লিশের সমীর পাড়ুই রাতে স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন। তখন বিষধর একটি সাপ ছোবলে মারে ওই যুবককে। এরপর বাড়িতে এলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝাঁড়ফুক চলে। গাছ গাছড়ার ওষুধও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু রাত্রের দিকে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বেগতিক বুঝে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সমীর পাড়ুইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। তাঁদের দাবি, ওঝার কাছে না গিয়ে প্রথমেই যদি হাসপাতালে আনা হত, তাহলে তাঁকে বাঁচানো যেত। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর থেকে ওঝা বেপাত্তা। গ্রামবাংলার অনেক এলাকা যে এখনও এইসব কুসংস্কারে আচ্ছন্ন তা প্রমাণ দিল দেগঙ্গার এই ঘটনা। স্রেফ বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেল এক তরতাজা প্রাণের।

আরও পড়ুন- জন্মনিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রকাশ যোগী সরকারের, বিরোধিতায় বিরোধীরা