চমক! সংসদের মিটিং সেরে একই উড়ানে সওয়ার দুই সাংসদ, একজন যাত্রী অন্যজন পাইলট

চমক বোধহয় একেই বলে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে যে সাংসদের(MP) সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে তাঁকেই দেখলেন ভিন্নরূপে। এখন আর তিনি সাংসদ নন, গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এখন তিনি পাইলট(pilot)। হ্যাঁ চমকে দেওয়ার মতো এমন ঘটনার মুখোমুখি হলেন দিল্লি থেকে চেন্নাই সফররত ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারন(DayaNidhi Maran)। বিমানে যাকে তিনি পাইলট হিসেবে দেখলেন কয়েক ঘন্টা আগে সংসদীয় বৈঠকে তাঁর সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন দয়ানিধি। দেশের সাংসদ ও পেশায় পাইলট এই ব্যক্তির নাম রাজীব প্রসাদ রুডি(Rajiv Prasad rudy)। রীতিমতো চমকে গিয়ে এই বিমান সফরকে ‘১৩ জুলাই এক স্মরণীয় বিমান সফর’ বলে টুইট করেছেন ওই ডিএমকে(DMK) সাংসদ দয়ানিধি।

বিমানের পাইলট হিসেবে বিজেপি সাংসদ রাজীব রুডিকে দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়ে টুইটে ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি এই মুহূর্তের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লেখেন, “সংসদীয় সমিতির বৈঠক শেষে দিল্লি থেকে চেন্নাই ফেরার জন্য ইন্ডিগো বিমানের সওয়ার হয়ে ছিলাম আমি। অন্যান্য দিনের মতোই ক্রু মেম্বারদের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হয় বোর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। তখনই ক্যাপ্টেনের পোশাকে এক ব্যক্তি আমার সামনে এসে হাজির হন এবং আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনিও এই বিমানে সফর করছেন। যদিও আমি তাঁর প্রশ্নে সম্মতি সূচক মাথা নাড়লেও ওনার মুখে মাস্ক থাকার কারণে ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারিনি। তবে মাস্কের ভেতর থেকে তাঁর হাসিমুখ আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘তাহলে আপনি আমাকে চেনেন না।’ আমি তখন বুঝতে পারলাম তিনি আর কেউ নন, সংসদে আমার সহকর্মী তথা বরিষ্ঠ সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি। সংসদে যিনি আমার ভীষণ ভালো বন্ধুও।’

আরও পড়ুন:বদল নয়, লোকসভায় বিরোধী দলনেতার গুরুদায়িত্ব সামলাবেন অধীরই

দয়ানিধি আরো লেখেন, “মাত্র দু ঘণ্টা আগে সংসদীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন উনি। এখন বিমানে এই সাংসদ অন্য দায়িত্ব পালন করছেন দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমার কাছে এটা অত্যন্ত সম্মানের বিষয় যে আমি যে বিমানে সফর করছি সেখানে পাইলট হিসেবে বসে রয়েছেন সংসদে আমার সহকর্মী ও বন্ধু। যখন কেন্দ্রে আমার পিতা বানিজ্য মন্ত্রী ছিলেন তখন রুডিজি ওই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।” দয়ানিধির কথায়, “সত্যিই এই সফর আমার কাছে স্মরণীয়। এমনটাও হয়? একজন সাংসদ তাঁর সংসদীয় কাজের শেষে বাণিজ্যিক বিমানের ক্যাপ্টেনের ভূমিকা পালন করেন? আমাকে দিল্লি থেকে চেন্নাই পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন রাজীব প্রতাপ রুডি।”

উল্লেখ্য, রাজীব প্রতাপ রুডি বিহারের ছড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী একজন বিজেপি সাংসদ। শুধু তাই নয় বিজেপির একজন জাতীয় মুখপাত্র। পূর্বে নাগরিক উন্নয়ন মন্ত্রকের গুরু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আবে সাংসদ হলেও পেশাগতভাবে বিমানের পাইলট রাজীব তাঁর পেশা কখনো ছাড়েননি। আজও যাত্রীদের নিজের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার গুরুভার দায়িত্ব সহকারে পালন করে চলেছেন দেশের এই সাংসদ। আর সেটা যে সংসদে তাঁর সহকর্মীদের অনেকেই জানেন না এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

 

Previous articleবিয়ের মরশুমের মাঝেই কলকাতায় ফের বাড়ল সোনার দাম
Next articleহাইকোর্টের প্রতি আস্থা হারিয়ে নন্দীগ্রাম-মামলা অন্যত্র সরাতে সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু!