পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এবার একুশে জুলাই শহীদ দিবস শুধুমাত্র কলকাতা বা রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এই কর্মসূচি জাতীয়স্তরেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ার পর জানিয়ে ছিলেন, দেশের কোনায় কোনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পৌঁছে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। তবে শুধু ইউনিট খোলা বা কয়েকটি আসন জেতা নয়, ভিন রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য লড়াই করবে তৃণমূল।

এদিকে একজন বিধায়ক না থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরাতে তৃণমূলের একটা প্রভাব রয়েছে। উত্তর-পূর্বের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা বাঙালি অধ্যুষিত হওয়ায় সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগঠন দ্রুত বিস্তার লাভ করার ক্ষেত্রেও একটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। তাই এবার ত্রিপুরাতেও খুব জোরকদমে পালিত হতে চলেছে একুশে জুলাই কর্মসূচি।

বর্তমানে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি আশিষলাল সিংহ। ত্রিপুরার রাজনীতিতে আশিষবাবুর উজ্জ্ব পরিচিতি রয়েছে। কংগ্রেস আমলে তাঁর বাবা শচীন্দ্রলাল সিংহ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানী আগরতলা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় জানিয়ে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তিতা সমানভাবে এবং তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি কলকাতায় এসেছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একুশে জুলাই পালনের বিষয়ে বৈঠকও করেছেন তিনি। আরও জানা গিয়েছে, রাজধানী আগরতলার দুই জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙানো হবে। এছাড়াও গোমতী জেলার উদয়পুর, উত্তরের জেলা ধর্মনগরে জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানো হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জন্য গত বছরের মতো এ বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমে একুশে জুলাইয়ে ভাষণ রাখবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, অসম-সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে নেত্রীর ভাষণ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
