মন্ত্রিত্ব হারিয়ে কাতর বাবুল নেটপাড়ায় উধাও, সন্ধান চাই বিজ্ঞাপনের তোড়জোড় দলেই!

সন্ধান চাই বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা অনেকেই বলছেন। কারণ, নেট-পাড়ায় দেখা নেই বাবুল সুপ্রিয়র। যাঁর রাজনীতির শিকড়টাই ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তিনি হঠাৎ সেখান থেকে উধাও। কেউ বলছেন, মন্ত্রিত্ব হারানোর শোকে, কেউ বলছেন অভিমান। অভিমান বড় কঠিন বস্তু, একবার শরীরে প্রবেশ করলে তাকে বের করা বেশ কঠিন। আর তা যদি ৭ বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পর হঠাৎ এক সকালে এক ফোনের নির্দেশে ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে সে অভিমানের স্থায়িত্ব দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে বাধ্য।

১১ জুলাই রাত ১১.৩০ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট করেন বাবুল। কী লিখেছিলেন? গুজবে কান দেবেন না। আমার হয়ে কথা বলবে আমার কাজই। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে কেন এতো গুঞ্জন? কারণ, যে বাবুল দিনে অন্তত ৩-৪টে পোস্ট করতেন সোশ্যাল মিডিয়াতে, তিনি হঠাৎ ‘আহত ও অবসৃত’। মন্ত্রিত্ব হারানোর দিন থেকেই বাবুলের অভ্যন্তরীণ উষ্মা বাইরে বেরিয়ে আসে। ফেসবুকে লিখলেন, যেখানে ধোঁয়া থাকে সেখানে কিছুটা আগুন তো থাকবেই… হ্যাঁ, আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। ৭ বছরের মন্ত্রিত্বের গদি ছাড়তে হওয়ায় কিঞ্চিত বিমূঢ় বাবুল বুঝেছিলেন, ব্যাপারটা একটু বেশিই গরম হয়ে গিয়েছে। দল ভালভাবে নেয়নি। আরও কিছু যাতে না যায়, তাই এরপর লিখলেন, ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল, কথাটা এভাবে বলাটা ঠিক নয়।’ পরে আবার লিখলেন, ‘আমার মনের কোনে বাইরে।’ কাউকে আমার মনের হদিশ তো দিইনি আমি-দেবও না। তা হলে তা নিয়ে এতো কথা কেন?

আরও পড়ুন:কানোয়ার যাত্রা: যোগী সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ আদালতের

এরই মাঝে মুকুল রায় আর তৃণমূল কংগ্রেসকে ট্যুইটারে ফলো করা শুরু করলেন। তাঁর মন্ত্রিত্ব হারানো নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।ঝামেলায় জড়ালেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। দিলীপ বললেন, মন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওকে কম গালমন্দ করেননি। এখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বাবুল। পালটা সক্রিয় বাবুলের উত্তর, আমার হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন, এতেই আমি আনন্দিত। বাবুলের সঙ্গে দিলীপের সম্পর্কের ‘উত্তাপ’টা সহজেই ধরা পড়েছে।

নেটপাড়ায় নীরব বাবুলের হঠাৎ অনুপস্থিতি। কী বলছে বিজেপির অন্দরমহল? দিল্লি বিজেপি বলছে, ৭ বছরের মন্ত্রিত্ব। হঠাৎ হারিয়ে বেচারা মুষড়ে পড়েছে। দ্রুত কাটিয়ে উঠবে আমাদের বিশ্বাস। আবার রাজ্যের এক নেতার দাবি, বাবুল নিজের ওজন না বুঝে খেলছিলেন। মোদি মাঠ থেকেই তাঁকে তুলে ফেলে দিয়ে বোঝালেন, সবটা ছেলখেলার জায়গা নয়। আর ছিদ্রান্বেষীরা বলছেন, আছে আছে, জানতি পার না। এ এক অন্য খেলা, যার কোনও তথ্য প্রামাণ নেই।

বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নেট দুনিয়ায় সদা চঞ্চল বাবুল হঠাৎ অনুপস্থিত। বাবুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, কখন কী ঘটে যায় কিচ্ছু বলা যায় না।

 

Previous articleরোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
Next articleসাংবাদিক রাজীব ঘোষ প্রয়াত