‘ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়লো বেড়াল।’ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারকে কত রকম ভাবে সমস্যায় ফেলা যায় তার নমুনা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে বিজেপি(BJP)। এবার সেই পথে হেঁটে রাজ্যের সাংবিধানিক সংকট তৈরিতে উপনির্বাচনের(by poll election) বিরোধিতা করে সরব হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী(suvendu Adhikari)।

করোনা পরিস্থিতিতে(covid situation) রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্য সুর গাইতে দেখা গিয়েছিল বিজেপিকে। করোনার জেরে তৃণমূলের তরফে শেষ তিন দফার ভোট একদফায় করার আবেদন জানালেও বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে মোদি-শাহদের সুবিধা করে দিতে সে দাবি মানেনি নির্বাচন কমিশন। যদিও সেই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেই উপনির্বাচনের বিরোধিতা করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে ভোল বদলে এখন অবশ্য তাঁর দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন হওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন:বিনয়ের ইস্তফার পরে মোর্চার ওই গোষ্ঠীর কার্যকরী সভাপতি অনীত

বিধানসভা নির্বাচনে হুগলি জেলায় বিজেপির চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর্যালোচনা ও আগামী রণকৌশল ঠিক করতে নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন করা উচিত নয়। সরকার লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না, অথচ উপনির্বাচন চাইছে। তার মানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি গুরুতর। এই সময়ে কোনরকম উপ নির্বাচনের বিরোধিতা করছি আমরা। শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিজেপি চাইছে যেনতেন প্রকারে শাসক দলকে বিপাক ফেলতে। আর সেই কারণেই তারা চায় উপনির্বাচন না হোক এবং রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হোক। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যখন গুরুতর আকার নিয়েছে, কোভিড বিধিকে ফুৎকারে উড়িয়ে রাজ্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অমিত শাহ সহ দিল্লির হাইপ্রোফাইল নেতারা। তখন বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের তরফে আবেদন জানানো হলেও তা কানে তোলা হয়নি। একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছিল শেষ তিন দফার নির্বাচন একদফাতে শেষ হোক। তবে তার বিরোধিতা করে বিজেপি। আর এখন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপি চায় রাজ্যে তৈরি হোক সাংবিধানিক সংকট। আর সেই কারণেই করোনা বিধি মেনে উপনির্বাচনে তীব্র আপত্তি শুভেন্দু অধিকারীর।

