ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে সাংসদের সরকারি বাংলোয়, স্পিকারকে অভিযোগ কল্যাণের

ছাদ চুঁইয়ে বিছানায় জল পড়ছে, মেঝেতে বালতি রেখে জবুথবু হয়ে সোফায় বসে রয়েছেন ডাকাবুকো সাংসদ। ঘটনা রাজধানী দিল্লির(Delhi)। সামান্য বৃষ্টিতেই মাত্র দু’বছর আগে ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে তৈরি সাংসদদের ডুপ্লেক্স বাংলোর এমনই দুর্দশা।

রাষ্ট্রপতি ভবন সংলগ্ন সাত নম্বর, ডুপ্লেক্স বাংলো, নর্থ অ্যাভিনিউ। দিল্লিতে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Kalyan Banerjee) ঠিকানা। সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল এখানে এসে উঠেছেন কল্যাণ। কিন্তু, ভোররাত থেকে আর ঘুমোতে পারছেন না। ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ছে বিছানায়। ঘটনাচক্রে সংসদের আবাসন বিষয়ক স্থায়ী সমিতির সদস্য পদে রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বাংলোর এমন দুর্দশা দেখে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার(Om Birla) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বছরখানেক আগেও স্পিকারকে চিঠি লিখে একই ঘটনার প্রতিকার চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রবীণ সংসদ। এ দিনের ঘটনার পর ফের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন কল্যাণ। পাশাপাশি সরকারি তহবিল খরচ করে বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয়ে সাংসদদের জন্য এই বাংলা তৈরির পেছনে কোনও দুর্নীতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:‘বাংলাদেশি কেন ভারতের মন্ত্রী’? নিশীথ ইস্যুতে তোপ ডেরেকের

নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হয়ে বিছানায় জল পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছে। এমনকি শুধু আমার ফ্ল্যাটেই নয় পাশে দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটেও একইভাবে ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ার ঘটনা ঘটেছে বহুবার। সমস্ত বিষয়টি স্পিকারকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি।”

রাজধানী দিল্লির বুকে একজন সাংসদের বাংলোয় সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হয়ে কিভাবে জল পড়তে পারে ? সামান্য খোঁজ নিতেই জানা গেল, এই বাংলোর মতোই নর্থ এভিনিউতে ৩৬ টি ডুপ্লেক্স বাংলা তৈরি করেছে সিপিডব্লিউডি বা কেন্দ্রীয় জন্ম কারিগরি বিভাগ। যার জন্য খরচ হয়েছে মোটা অংকের টাকা। বছর দুয়েক আগে ঘটা করে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই ফ্ল্যাট গুলির উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ফ্ল্যাটগুলির দুর্দশা সামনে আসতে শুরু করে। পুরো ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই কিন্তু যে সমস্ত আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার এই কাজ করেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক এবং তদন্ত করে দেখা হোক কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা।”

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ছাদ ফুটো হয়ে ফলসিলিং ভেদ করে যেভাবে জল ঘরের মেঝেতে এসে পড়ছে তাতে তাঁর প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল। তাঁর কথায়, “ঘুমন্ত অবস্থায় আসতো ফলসিলিং যদি গায়ের উপর এসে পরতো তাহলে আর বেঁচে থাকতে হত না।”

 

Previous articleদমদম বিমানবন্দরে যাত্রীরা ১৫ মিনিটেই পাবেন করোনা রিপোর্ট
Next articleহ্যাক হয়েছিল অভিষেকের ফোন, তালিকায় ছিলেন পিকেও: বিস্ফোরক দাবি ‘দ্য ওয়্যার’-এর