আজ শুরু হছে সংসদের বাদল অধিবেশন, জ্বালানির অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে সাইকেলে চেপে যাবেন তৃণমূল সাংসদরা

আজ থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন ( starting parliament session)। লোকসভা (parliament of India) সূত্রে জানা গিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের টিকাকরণের(Corona vaccination) ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই এই করোনা আবহে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন । বাদল অধিবেশন(monsoon session) শুরুর দিন থেকেই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে (prime minister Narendra Modi) চাপে রাখতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। দেশজুড়ে এখনো ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা। তারই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (third wave of Corona) আশঙ্কা। অগ্নিমূল্য পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস(price hike of petrol diesel and gas)। কৃষক বিরোধী (farmer bill)নতুন তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবি। এই ইস্যুগুলিতে সংসদে মোদি সরকারকে একেবারে কোণঠাসা করতে কৌশল নিচ্ছে বিরোধীরা। পেট্রোল-ডিজেলের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে সোমবার সাইকেলে চেপে সংসদে যাবেন তৃণমূল সাংসদরা(TMC MPS) । এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইকেলও। তবে বিরোধীদের চাপে রাখতে তৈরি সরকারপক্ষ বিজেপিও।

জানা গিয়েছে , পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ তুলে সংসদে সরব হবে বিজেপি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিরোধীরা যাই দাবি এবং অভিযোগ তুলুক, সবকিছুরই যোগ্য জবাব দিতে তৈরি কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে এদিন সাইকেলে চেপে সংসদ ভবনে যাবেন তৃণমূল সাংসদরা।  সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) জানিয়েছেন, ‘ দামের প্রতিবাদে আমাদের সাংসদরা সাইকেলে করে যাবেন। ভ্যাকসিনেশন নিয়ে আলোচনা চাইব। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলা। সরকার বুধবার সর্বদল বৈঠক টিকাকরণ নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা চাইছে সংসদেই এনিয়ে আলোচনা হোক। ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তিনি লিখেছেন, ‘কোভিড ১৯-এর উপর প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রের তরফে কনফারেন্স রুমে কোনও চটকদার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখতে চায়না বিরোধী সাংসদরা। সংসদে অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানে এসে কথা বলুন। বাদল অধিবেশন শুরুর আগে, নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ভর্ৎসনা করে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার ক্ষমতার লোভ, লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তির কারণ। কিন্তু আপনি কিছুই করেননি, শুধুমাত্র রোজ নতুন নতুন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

এদিকে, তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বাদল অধিবেশনের মধ্যেই দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রাজধানীতে পা রাখতে পারেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Previous article‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখাতে অভিষেকেই রেকর্ড সূর্যকুমারের
Next articleসোশ্যাল মিডিয়ার মেসেজ মামলার প্রামাণ্য দলিল হতে পারে না, জানাল সুপ্রিম কোর্ট