পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত SSC নিয়ে সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সোমবার সেই মামলাটির শুনানি হয়।

এসএসসি মামলায় (SSC Case in Supreme Court) বড় আপডেট। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সুপার নিউমেরারিতে (supernumerary post) সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের (Stay in CBI investigation by SC)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে সুপ্রিম দ্বারস্থ ২৬ হাজারের ভবিষ্যৎ আজও নির্ধারিত হল না। আদালতের রায়ের এক সপ্তাহ পর এদিন শীর্ষ আদালতে এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে ওই চাকরিপ্রাপকদের। কলকাতা হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এদিন সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সোমবার সেই মামলাটির শুনানি হয়। চাকরিহারাদের আইনজীবীর তরফে বলা হয় যে হাইকোর্ট যেহেতু নিয়োগ করেনি তাই আদালত এভাবে চাকরি বাতিল করতে পারে না। আর তাছাড়া আট হাজার দুর্নীতি হলে কীভাবে ২৫ হাজারের চাকরি যায়? প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের তরফে বিচারপতি এদিন বলেন সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা কখনই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। নাইসার কোনও টেন্ডার হয়নি।ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন কেন এই পদ তৈরি করতে হল? নিয়োগ অবৈধ জানার পরও কেন নিয়োগ? OMR শিট নষ্ট করা হয়েছে বলেও এদিন সুপ্রিম আদালতের তরফে জানানো হয়। চাকরিহারাদের আইনজীবীর তরফে বলা হয় এই মুহূর্তে নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন অনেকে। এই অবস্থায় স্থগিতাদেশ না দিলে সমস্যা বাড়বে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায় তারা যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা কীভাবে করবে যখন ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে । উত্তরে কমিশন জানায় তারা এই কাজ করতে প্রস্তুত। এটা  সিবিআই করতে পারে না। আগামী সোমবার সেই রিপোর্ট জমা দেবে SSC। এরপর সুপার নিউমেরারিতে সিবিআই তদন্তে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।তবে চাকরিহারাদের ক্ষেত্রে কোনও স্টে না দেওয়াও তাঁদের ভবিষ্যৎ আপাতত ঝুলে রইল। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

Previous articleরোগীর শরীরে সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ! চিকিৎসকদের নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
Next articleমুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিচ্ছেন, BJP-CPIM কাড়ছে: উলুবেড়িয়া থেকে গর্জে উঠলেন অভিষেক