স্বাধীনতা দিবসের দিন ফের একবার ট্র্যাক্টর র‍্যালির ডাক কৃষকদের

ফের একবার ট্র্যাক্টর র‍্যালির ডাক দিল কৃষকেরা। কেন্দ্রের তিন কালা কানুনের বিরুদ্ধে ফের ট্র্যাক্টর নিয়ে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠন। আগামী ১৫ অগস্ট হরিয়ানার জিন্দ এলাকায় আন্দোলনরত কৃষকেরা ট্র্যাক্টর র‍্যালিতে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন যে ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না কেউ। তাই দিল্লি নয় এবার জিন্দ থেকে সড়কপথে চণ্ডীগড় শহরের দিকে মিছিল করবেন তারা।

আন্দোলনরত কৃষকেরা আরও জানিয়েছেন, কোনও মন্ত্রীকে তারা সেদিন জাতীয় পতাকা তুলতে দেবেন না।

কেন্দ্রের তিন কালা আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকেরা। দিল্লি-পঞ্জাব সীমান্ত, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে দীর্ঘ আটমাসের বেশি আন্দোলন করেই চলেছেন কৃষকেরা। গাজিপুর, টিকরি সীমান্তে রয়েছেন তারা, হরিয়ানাতেও এই আইনের প্রতিবাদ চলছে টানা আটমাস। তাই এবার হরিয়ানার মধ্যেই আন্দোলন করে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন কৃষকেরা।

জানানো হয়েছে, ১৫ অগস্ট কৃষকরা যে আন্দোলন করবেন, সেখানে চাষবাসের সরঞ্জাম, সার, কীটনাশক কিংবা বীজ থাকবে, যা নিয়ে ট্র্যাক্টর র‍্যালিতে অংশ নেবেন তারা। তবে কোনও অশান্তি নয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে বলেই জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে কৃষক নেতা বিজেন্দর সাধু জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাক্টরে করে আমরা বিরাট বড় মিছিল বার করব। আমাদের নিজস্ব ব্যানারে সেই মিছিল হবে। রুট ম্যাপ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া আছে। কোনও মন্ত্রীকে দেশের পতাকা তুলতে দেখলেই তাদের প্রত্যাখান করে কালো পতাকা দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
তার অভিযোগ, কৃষি আইন লাগু নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষকদের এই লড়াই আন্দোলন নিয়ে কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রের ।

যদিও প্রশ্ন উঠেছে, কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে কি এবার জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করবে কেন্দ্র? দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের একটি বিজ্ঞপ্তির পর সেই জল্পনাই মাথা চাড়া দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করলে, তাকে আটক করা যাবে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এই পদক্ষেপ নিতে পারবেন পুলিশ কমিশনার। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও জটিলতা কাটেনি। এরমধ্যেই যন্তরমন্তরে কিষাণ সংসদ শুরু করেছেন কৃষকরা। চলবে সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত। আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে রাশ টানতে নয়া এই নির্দেশিকা ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Previous articleআইনজীবীদের অসন্তোষ সামলাতে তড়িঘড়ি বৈঠকে হাইকোর্টের বিচারপতি
Next articleসোমবার দেশে ফিরছেন রুপোর মেয়ে চানু, ১কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা মণিপুর সরকারের