সীমান্ত সঙ্ঘর্ষ : বৈঠক করেও ব্যর্থ অমিত শাহ, দুই মুখ্যমন্ত্রীর লড়াই চলছে

দেশের দুই রাজ্যের সীমান্তের মানুষের মধ্যে বেনজির সঙ্ঘর্ষ। অসম-মিজোরাম সীমান্ত রণক্ষেত্র। মঙ্গলবার সকালেও চরম উত্তেজনা। ইতিমধ্যে সংঘর্ষে ৬জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আহত কম করে ৮০। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। গতকালের এই সঙ্ঘর্ষের সময় ইট-পাথর বৃষ্টি হয় দুপক্ষের মধ্যে, চলে গুলি, কৃষকদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, পোড়ানো হয় সরকারি গাড়ি।

ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগেই উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মেঘালয়ে বৈঠক করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গোপন সে বৈঠকের পরেই এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতা দেখছে রাজনৈতিকমহল। কারণ, ওই বৈঠকেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা স্পষ্ট ভাষায় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে অমিত শাহকে রিপোর্ট করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বৃটিশ অপশাসনের দায়ভার বয়ে বেড়াচ্ছে দুই রাজ্য। যার ফলে অশান্তি বাড়ছে, উন্নয়ন বাধা পাচ্ছে। তারপরেও এই সংঘর্ষ কার্যত বিজেপি সরকারের ব্যর্থতাকেই সামনে এনে দিল।

বৈঠকে জোরামথাঙ্গা বলেন, কাছাড়ের যে এলাকাটি নিয়ে বিবাদ, সেই এলাকা মিজোরামের মানুষ ১০০ বছর ধরে ব্যবহার করছে। অসম সরকারকে এ ব্যাপারে সহনশীল হতে আর্জি জানান তিনি। পালটা অসম পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে মিজোরামের গুণ্ডাবাহিনী। লীলাপুরে সরাসরি তারা অসম পুলিশের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। অসম মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা সংঘর্ষের একটি ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, মিজোরাম পুলিশ বিতর্কিত এলাকা থেকে অসম পুলিশকে সরে যেতে হুমকি দিচ্ছে। অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখনই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা। পালটা জোরামথাঙ্গা ভিডিও শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন, অসম পুলিশের লাঠি চার্জ করেছে সাধারণ মানুষের উপর। এক দম্পতিকে যেভাবে মারা হয়েছে, সেই ছবির কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

ফলে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজনের সঙ্গে কথা বললেও মঙ্গলবারেও উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

আরও পড়ুন:ভুয়ো আইএএসের পর শহর থেকে গ্রেফতার ভুয়ো আইপিএস

 

Previous articleভুয়ো আইএএসের পর শহর থেকে গ্রেফতার ভুয়ো আইপিএস
Next articleতৃতীয় রাউন্ডে হার শরথ কমলের