ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে ফ্রান্স থেকে আরও তিনটি রাফাল পৌঁছল দেশে

এবার ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ফ্রান্স থেকে আরও তিনটি রাফাল এসে পৌঁছল দেশে। গতকাল ফ্রান্সের একটি বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়ান শুরু করে রাফাল বিমানগুলি। প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটারের এই সফরে মাঝ আকাশে রাফালগুলিতে জ্বালানি ভরে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বায়ুসেনার ট্যাঙ্কার বিমান। টানা ৮ ঘন্টার উড়ান শেষে ভারতে এসে পৌঁছয় যুদ্ধবিমানগুলি।
এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়ার পৌরহিত্যে পুনর্গঠিত ১০১ স্কোয়াড্রনে সরকারিভাবে রাফাল যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার এওসি-ইন-সি এয়ার মার্শাল অমিত দেব।

এদিন বিমান অবতরণ করলে তাকে জলকামান দিয়ে প্রথামাফিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর আগে, তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান মাঝ-আকাশে ফ্লাই-বাইয়ের মাধ্যমে তাদের অভ্যর্থনা জানায়।
এর আগে, তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান মাঝ-আকাশে ফ্লাই-বাইয়ের মাধ্যমে তাদের আগমনের জানান দেয়।
যুদ্ধে রাফাল বিমানকে গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই এই বিমানকে লাদাখের প্রতিকূল আবহাওয়ায় মহড়া দেওয়া হয়েছে। মাটি থেকে সমুদ্র বা আকাশের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও দক্ষ রাফাল।

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বায়ুসেনা প্রধান বলেন, হাসিমারায় ভীষণ ভাবনাচিন্তা করেই রাফাল বিমানকে হাসিমারায় মোতায়েন করা হচ্ছে। এর ফলে, পূর্বাঞ্চলে বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

রাফালের জন্য ১০১ স্কোয়াড্রন ‘ফ্যালকন্স অফ ছাম্ব অ্যান্ড আখনুর’- কে পুনর্গঠন করেছে বায়ুসেনা। ১৯৪৯ সালে পালমে এই স্কোয়াড্রনের গঠন হয়েছিল। অতীতে এই স্কোয়াড্রনের আওতায় ছিল হার্ভার্ড, স্পিটফায়ার, ভ্যাম্পায়ার, এসইউ-৭ এবং মিগ-২১এম যুদ্ধবিমানগুলি।

এই স্কোয়াড্রন ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১১ সালে এই স্কোয়াড্রন অবসর নেয়। এখন, রাফাল আসায় এই স্কোয়াড্রনকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে।