‘এত অপমান অসহ্য’, মোর্চা ছাড়ার হুমকি ISF বিধায়ক নওশাদের

আলিমুদ্দিনের উপর চাপ বাড়ালেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জোট নিয়ে বামফ্রন্টের সঙ্গে  জটিলতাও তৈরি হয়েছে৷ বামফ্রন্ট এবং শরিক কংগ্রেস নেতাদের নানা মন্তব্যে আইএসএফের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে৷  পরিস্থিতি এমনই, এতকিছুর পরেও মোর্চায় থাকতে হচ্ছে কেন, তা নিয়ে কার্যত জবাবদিহির মুখে আইএসএফ নেতৃত্ব৷
দলের অন্দরের চাপেই  বুধবার জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক নওশাদ৷
এদিন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, “আমরা সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে আছি। কিন্তু মোর্চার অন্যান্য দল আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেই চলেছে। মোর্চার স্বার্থে আমরা এখনও পর্যন্ত চুপ আছি। কিন্তু কতদিন চুপ থাকতে পারব বলতে পারছি না।”
এর পরই বাম-কংগ্রেসকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ বলেছেন, “যদি এরকম মনে হয় যে আইএসএফ সংযুক্ত মোর্চা ছেড়ে দিলে আমাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকবে, আমরা সেটাও করতে রাজি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এভাবে আমাদের ঘণ্টার মতো বাজিয়ে দিয়ে চলে যাবে শরিক দলগুলি,  এটা মেনে নিতে পারছে না। আমরা দ্রুত সমাধান চাই।”
নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ভোটে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে আইএসএফের সঙ্গে জোটকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বাম-কংগ্রেস, দু’পক্ষই৷ মোর্চার বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও শরিক দলগুলি পাত্তাই দেয় না নওশাদকে৷  বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল আইএসএফ। কিন্তু বিমানবাবু নাকি টালবাহানা করে চলেছেন বলে দাবি আইএসএফের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি তো বলেই দিয়েছেন, “এই জোট কেবলই নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট ছিল। ভোট শেষ, জোটও শেষ”৷
পরের পর শরিক দলের কাছ থেকে অপমানসূচক ব্যবহার এবং বার্তা শোনার পরই আইএসএফ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এভাবে বেশি দিন সহ্য করা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক মহলে এর পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি তৃণমূলের পথে নওশাদ সিদ্দিকি !

Previous articleবেলাগাম সংক্রমণ, বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০হাজার ছাড়ালো
Next articleমুখ পোড়ানো ঠেকাতে রাজ্যসভা ভোট থেকে সরে গেল বিজেপি