খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে, মমতার দিকে তাকিয়ে ত্রিপুরাবাসী: ব্রাত্য বসু

একুশে বাংলায় বিপুল জয়ের পর তেইশের লক্ষ্যে ত্রিপুরায় (Tripura) ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালনে বাধা কিংবা ভোট কুশলী পিকের (PK) সংস্থা আইপ্যাকের (IPAC) সদস্যের হোটেলবন্দি করে রাখার পিছনে সেই রাজ্যের শাসক দল বিজেপির (BJP) ভীতি কাজ করছে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

 

আজ, বুধবার রাজ্য থেকে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছে আগরতলা। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরায় সময়মতো আসতে পারেন বলেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে।

 

এদিন আগরতলার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিন প্রতিনিধি বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা প্রত্যেকেই ত্রিপুরায় বিজেপি পরিচালিত বিপ্লব দেব সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

 

ব্রাত্য বসুর কথায়, “আমরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরায় এসেছি। আটক থাকা আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব। এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবো। পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবো। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। গণতন্ত্র রক্ষা করতে ত্রিপুরার মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখানে আসবেন। ত্রিপুরায় খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যের বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।”

 

আইপ্যাক টিমের সদস্যের হেনস্তা করা হল কেন, প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বসু বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যেই সমীক্ষক দল যায়। বাংলায়ও বিজেপির নেতানেত্রীরা এসেছেন। তাঁদের তো আটকে রাখা হয়নি? এভাবে গৃহবন্দি করা রাখা হয়নি। এখানে আইপ্যাক টিমের সদস্যদের কেন আটকে রাখা হল? এই সংস্থার মাথায় প্রশান্ত কিশোর রয়েছেন বলে? তাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আইপ্যাকের সদস্যরা কোভিডবিধি ভাঙেননি, তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ, সেটা এখানকার প্রশাসনই জানিয়েছে। তাহলে আটকে রাখা কেন?” প্রশ্ন ব্রাত্য বসুর।

 

এ প্রসঙ্গে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আসলে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা এসব করছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।”

 

রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর পরই লেনিন মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তাঁর কথায়, “ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। মানুষ বদল চাইছে। বাংলায় মানুষ বিজেপিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। সারা দেশেও তাই হতে চলেছে। ত্রিপুরাতেও পরিবর্তন হবে।”

 

 

 

 

Previous articleশেষপর্যন্ত স্মার্টফোন ত্যাগ করে বোতাম টেপা ফোনে ফিরলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়!
Next articleফেসবুক-জুম- হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প আনছে বাংলাদেশ !