Sunday, August 24, 2025

রাত পোহালেই মাঠে নামছেন অভিষেক, ত্রিপুরায় “খেলা হবে” স্টেজ রিহার্সালে দেবাংশু-সুদীপরা

Date:

লক্ষ্য ২০২৩। মিশন ত্রিপুরা (Tripura)। রাত পোহালেই হাইভোল্টেজ রাজনৈতিক কর্মসূচি। নজরে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abishek Banerjee)। আর দলের জনপ্রিয় নেতা সোমবার আগরতলায় (Agartala) পা রাখার আগেই ত্রিপুরার ছাত্র ও যুব সমাজের মন বুঝতে আসরে “ত্রয়ী” দেবাংশু (Debanshu)-জয়া (Jaya)-সুদীপ (Sudip)। ত্রিপুরাতেও খেলা হবেরর স্টেজ রিহার্সাল। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে “ত্রিপুরাতেও খেলা হবে” (Khela Hobe) স্লোগান তুলে তৃণমূল কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা এলাকা চষে ফেলেছেন। অভিষেকের অপেক্ষায় এখন প্রহর গুনছে ত্রিপুরাবাসী।

বাঙালি অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্যের অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বিধানসভা ভোটের (Tripura Assembly Election) দেড়বছর আগেই ময়দানে তৃণমূল। ঝড় ওঠার আভাস পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৈন্য-সামন্তরা।

আরও পড়ুন- অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, গুরুতর জখম যুবক

মানিক সরকারের (Manik Sarkar) বাম (Left front) জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি (BJP)। বিপ্লব দেবের (Biplab Dev) সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্যে শিল্প আসবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শিল্পের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। নেই কর্মসংস্থান। সরকারি চাকরি নৈব নৈব চ। কৃষি ব্যবস্থাও অথৈ জলে। ভেঙে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য। শিক্ষক ছাঁটাই থেকে ব্যবসায় মন্দা। বাড়ছে সন্ত্রাস। তাই রাজ্যে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে ভরসা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিপ্লব সরকারের একাধিক ব্যর্থতা ও অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরায় ঘর গোছাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। বিজেপিকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, টানা তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, সমব্যথী, লক্ষী ভান্ডার থেকে দুয়াতে রেশন প্রকল্প মন কেড়েছে ত্রিপুরাবাসীর।

ঘর গোছাতে তাই এ রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় ছুটে গিয়েছেন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ত্রিপুরায় কের পুজোয় শুভেচ্ছা জানানোর পরেই ওই জুড়ে চাঙ্গা তৃণমূল কর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে তাঁরা বলছেন, ”আমাদের সাথে পাঙ্গা নিলে, আমরা চাঙ্গা হয়ে যাই।” অর্থাৎ, শাসকের দিকে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ত্রিপুরা তৃণমূল। আর অক্সিজেন জোগাতে যাচ্ছেন অভিষেক।

আরও পড়ুন- ভুয়ো কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ অভিনেত্রীর

 

 

Related articles

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...

ঠাকুরবাড়ির স্বার্থের রাজনীতি ফাঁস: শান্তনুকে কাঠগড়ায় তুললেন মা-দাদা

বিজেপির মধ্যে ঝগড়া ও স্বার্থের লড়াই শুরু হয়েছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে। মতুয়া (Matua) সমাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কার: চরম দ্বন্দ্ব শান্তনু-সুব্রতর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায়...
Exit mobile version