Thursday, August 21, 2025

স্কুলছুট বন্ধ করতে সরকার কী পরিকল্পনা নিয়েছে? কেন্দ্রকে প্রশ্ন অভিষেকের

Date:

Share post:

করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে পড়াশোনার পাঠ চালু থাকলেও। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বেশিরভাগ পড়ুয়াই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যার ফলে অনেকেই মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট বা স্কুলছুট নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর(education Minister) কাছে জানতে চান, ২০২০-২১ সালে কত জন ছাত্র এবং কতজন ছাত্রী স্কুলছুট হয়েছে? এই ড্রপ আউট বন্ধের জন্য কেন্দ্র কি ব্যবস্থা নিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আরও জানতে চান শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় কি শুধু ৬ থেকে ১৪ বছরের ছাত্রছাত্রীরাই পড়ে? যে কারণে ১৫ বা তার বেশি বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ড্রপ আউটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?১৫-র ঊর্ধ্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট সমস্যা বন্ধ করতে সরকার কি পরিকল্পনা নিয়েছে?

আরও পড়ুন:গ্রিনল্যান্ডের ‘আইস শিট’ গলে জল, ২ ইঞ্চি জলের তলায় যাওয়ার সম্ভাবনা ফ্লোরিডার!   

অভিষেকের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্বীকার করেন, ২০১৯-২০ সালে প্রাইমারি ক্ষেত্রে ১.৭ ছাত্র এবং ১.২ শতাংশ ছাত্রী স্কুলছুট হয়েছে। আপার প্রাইমারিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ আউটের হার যথাক্রমে ২.২ এবং ৩ শতাংশ। সেকেন্ডারি এডুকেশনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ আউটের হার যথাক্রমে ১৭ ও ১৫.১ শতাংশ। মন্ত্রী আরও বলেন, সেকেন্ডারি এডুকেশনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলছুট আটকাতে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আর্থিক সাহায্য করা হয়ে থাকে। রাজ্যগুলিকে নতুন স্কুল এবং হোস্টেল চালু করা, ক্লাসরুমের সংখ্যা বাড়ানো-সহ সব ধরনের সাহায্য করে কেন্দ্র। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সমগ্র শিক্ষা অভিযানে ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের বছরে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থসাহায্য এবারই প্রথম করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সে কারণেই এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেসমস্ত ছাত্রছাত্রী বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করছে তাদেরও বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। এছাড়াও মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট আটকানোর জন্যই এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট আরও কমিয়ে আনতে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলেও মন্ত্রী জানান।

 

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...