গ্রিনল্যান্ডের ‘আইস শিট’ গলে জল, ২ ইঞ্চি জলের তলায় যাওয়ার সম্ভাবনা ফ্লোরিডার!   

বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের হার যে মাত্রায় বাড়ছে, ২০২১ রীতিমতো চিন্তিত করে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। আবারো মেরু বলয়ের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেল সম্প্রতি। তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট আশঙ্কায় আছেন এই কথা ভেবে যে, গ্রিনল্যান্ডে একদিনে যে হারে বরফ গলছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বেশ কিছু দেশ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেই ১৯৫০ সালে বরফ গলে জল হয়েছিল গ্রিনল্যান্ডে। সেই বছরেই যে বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল তার কথা হয়তো অনেকেরই জানা। তারপরে ২০১২ এবং ২০১৯ সালে বরফ গলন হয়েছিল,যা ছিল সত্যিই চোখে পড়ার মতো। তারপরেই এবছর অর্থাৎ ২০২১। বিজ্ঞানীদের মতে, মাত্র একদিনেই গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে ২২ গিগাটন বা ১০০ মেট্রিক টন । বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই পরিমান জল শুধু একটা অঞ্চল নয়, ঢেকে দিতে পারে একটা গোটা দেশকে। প্রবল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফ্লোরিডার। এইভাবে বরফ গলতে থাকলে ফ্লোরিডা অন্তত ২ ইঞ্চি জলের তলায় চলে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন ।শুধুমাত্র যে ফ্লোরিডা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, এই হারে জলস্তর বাড়তে থাকলে ভারত সহ বিশ্বের সবকটি দেশও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।
নাম গ্রিনল্যান্ড হলেও দেশটি বরফে ভর্তি। এই গ্রিনল্যান্ডের ‘আইস শিট’ গলার কথা পরিবেশবিদরা অনেক আগেই জানিয়েছিলেন। আইস শিট হল বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে একটি বরফের স্তূপ। কখনও কখনও এর আকার একটা ছোটখাট শহরের মতো হতে পারে। এহেন আইস শিট গলে গেলে বিপদ। আর সেই বিপদের সম্মুখীন আমেরিকার ফ্লোরিডা প্রদেশ।
এই কথা তাঁরা তাঁদের ওয়েবসাইট পোলার পোর্টালে জানিয়েছেন। শেয়ার করেছেন পোলার পোর্টালের টুইটার হ্যান্ডল থেকেও।বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৯ সালের মতো বড় না হলেও এবারের আইস শিট বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে।

 

Previous articleপুরসভার যে ১৮ টি মেগাসেন্টারে কলকাতাবাসী Covaxin-এর দ্বিতীয় ডোজ
Next articleস্কুলছুট বন্ধ করতে সরকার কী পরিকল্পনা নিয়েছে? কেন্দ্রকে প্রশ্ন অভিষেকের