“সিপিএমকে যাঁরা ভরসা করতেন, সেই কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, কর্মচারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Bandopadhyay) নিজেদের বন্ধু ভাবছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই কারণে সিপিএম (Cpm) শূন্যে নেমেছে। ত্রিপুরাতেও বামেদের পিছনে ফেলে বিজেপির (Bjp) মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল (Tmc)। বাকিটা মানুষ বিচার করবেন।” বুধবার, আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, বিধায়ক ও শিক্ষক-সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা অজয় বিশ্বাস (Ajay Biswas)।

বুধবার, সকালে দুদিনের সফরে ত্রিপুরা গিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বিমান বন্দরেই তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলই পারবে ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরাতে। এরপরই অজয় বিশ্বাসের বাড়িতে যান কুণাল। দিন পনেরো আগেই গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যে সিপিএমের অন্যতম স্থপতি এখন পার্টি ছেড়ে পিডিএসের সম্পাদক। কুণালের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয় অজয়বাবুর। পরে সাংবাদিকদের কুণাল বলেন, “এটি সৌজন্যসাক্ষাৎ”।

আরও পড়ুন:হার মেনেছেন বিজেপির গডফাদার: সাংসদদের সাসপেশনে মোদিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

অজয় বিশ্বাস সাংবাদিকদের কাছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। আগরতলা বিমানবন্দরে এদিন কুণালকে স্বাগত জানান তৃণমূলের অসংখ্য নেতা-কর্মী। দেওয়া হয় ত্রিপুরেশ্বরীর ছবি। এরপর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সম্পাদক। নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের নেতৃবৃন্দ মুকুল বৈরাগ্যর নেতৃত্বে সংগঠিত হন। ত্রিপুরাতেও তাঁদের শাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।

