জলমগ্ন পরিস্থিতির মধ্যেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি, বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও

কোথাও ঘরবাড়ি জলের তলায়। কোথাও ছাদের উপর গবাধি পশু নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কোথাও আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। রীতিমত বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই হুগলি, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্লাবন পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এরই মাঝে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবতের সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা।এর প্রভাবেই রাজ্যে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। বহু জায়গায় জলমগ্ন হওয়ার কারণে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।তাই যাতায়াতের একমাত্র উপায় এখন নৌকা। বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে NDRF। দুর্গতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে। কৃষি জমি জলমগ্ন হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।

হুগলি, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্লাবন পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ । শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। হুগলির একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কবলে বাড়িঘর, রাস্তার ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। দামোদরের জল বেড়ে যাওয়ায় চিন্তা আরও বাড়ছে।সেখানে জলস্তর এখনও নামেনি। এরই মাঝে ফের বৃষ্টি হলে দুর্গতদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন।

Previous articleশুক্রবার রাজ্য জয়েন্টের ফলপ্রকাশ, কীভাবে দেখবেন ফলাফল?
Next articleমোদি-সাক্ষাৎ হল না, নিরাশ হয়েই কলকাতা ফিরলেন দিলীপ