বুকে গেঁথে রয়েছে তির। বাঁকুড়া থেকে বছর পঞ্চাশের অচৈতন্য দেউলি কিসকুকে নিয়ে ওই অবস্থাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকেরা। ততক্ষণে অনেকটাই রক্তক্ষরণ হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত দেউলির অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন কার্ডিওথোরাসিক ভাস্কুলার সার্জন ডা. অংশুমান মণ্ডল। কার্ডিয়ো অ্যানাস্থেশিয়োলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সন্দীপকুমার কর। এছাড়াও ছিলেন, ডা. দেবযানী সাহা, ডা. অভিনন্দন মণ্ডল, ডা. সঞ্চিতকুমার মণ্ডল, কার্ডিওথোরাসিক ভাস্কুলার অ্যানাস্থেটিস্ট ডা. পবনকুমার ডাম্মালাপাতি।

শুধু তির বের করাই নয়, ধাতব তির বুকের চামড়ার ভিতরে অনেক সূক্ষ্ম ধমনিতে ক্ষতি করেছিল। বুকের পাঁজরের তৃতীয় এবং চতুর্থ হাড়ের ইন্টারকোস্টাল ভেসেলে ক্ষত ছিল। সেই সমস্ত ক্ষতকেও সারিয়ে তুলেছেন চিকিৎসকরা।

জটিল এই অস্ত্রোপচারকে বলা হয় নাম ‘অ্যান্টেরো ল্যাটেরাল থোরাকোটমি’। প্রায় ২০টি সেলাই পড়েছে দেউলি কিস্কুর। আপাতত ট্রমা কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- ঢাকায় পর্নকাণ্ড: পরীমনি ‘ঘনিষ্ঠতায়’ পদ হারালেন গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা

