#এবার ত্রিপুরার পরে তৃণমূলের নতুন স্লোগান “জিতবে ত্রিপুরা”

এতদিন তৃণমূলের স্লোগান ছিল “#এবার ত্রিপুরা”। সোমবার, সেই স্লোগান বদলে হল “জিতবে ত্রিপুরা”। ত্রিপুরায় তৃণমূলের (Tmc) যুব নেতৃত্বের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, জোর করে মারধর করে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না। “বাংলায় সিপিএম-কংগ্রসকে (Cpm-Congress) শূন্য করে দিয়েছে তৃণমূল। দিল্লি থেকে আসা নেতাদের বাংলা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ত্রিপুরায় জিতবে তৃণমূল। তৃণমূলের নেতৃত্বেই বিকল্প সরকার গঠন।”

পুলিশকে দিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে ত্রিপুরায় আক্রান্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ত্রিপুরায় মানবাধিকার কমিশন চুপ কেন? “দলদাসবৃত্তি ছাড়ুন, এনএইচআরসি (Nhrc) এখন বিজেপি কমিশন।”

 

ত্রিপুরায় (Tripura) জোর করে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল। বলেন, “সে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। জঙ্গলরাজ চলছে”। ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব নেতৃত্বকে পুলিশকে দিয়ে ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ কুণালের। আদালতে পর্যন্ত ‘বিজেপির (Bjp) গুন্ডাবাহিনী’ আইনজীবীদের ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

 

২০২৩-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) সেনাপতিত্বে মানুষের মহাজোটের তৃণমূল সরকার গড়বে ত্রিপুরায়।

 

ত্রিপুরায় ২০২৩-এ নীরব বিপ্লব, বিপ্লব দেব দেখতে পাবেন বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী (Samir Chakraborty)। কুণাল বলেন, বাংলার মানুষ যে জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা পান, ত্রিপুরার মানুষও সেইসব সুবিধা পাবেন।

ত্রিপুরায় বিপ্লব সরকার গঠন করার পর 10 হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এক শিক্ষকের জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। কুণাল আশ্বাস দেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গড়লে শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান করা হবে।