Thursday, November 13, 2025

ত্রিপুরায় অভিষেক সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে FIR, ‘ভয় পেয়েছে বিজেপি’ পাল্টা কুণাল

Date:

Share post:

ত্রিপুরা পুলিশ(Tripura police) বিজেপির(BJP) ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে এ অভিযোগ শুরু থেকেই তুলেছিল তৃণমূল। এবার ফের প্রকাশ্যে এলো ত্রিপুরা পুলিশের ন্যাক্কারজনক কীর্তি। বিজেপির হাতে আক্রান্ত ও অন্যায় ভাবে মহামারী আইনে পুলিশি গ্রেফতারের শিকার হওয়া ১৪ যুব তৃণমূল নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াতে খোয়াই থানায় উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee), ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা(Kunal Ghosh)। যার জেরে এবার ওই চার শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করলে থানার পুলিশ। অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতারা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। যদিও এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। যার জন্যই এই ধরনের কাজকর্ম শুরু করেছে। আমরা কোনওভাবেই পুলিশকে পুলিশের কাজে বাধা দেইনি।

ত্রিপুরায় আমবাসায় আক্রান্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ ১৪ জনকে গত রবিবার অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। ধৃতদের ছাড়াতে সেদিনই ত্রিপুরার খোয়াই থানায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের কথাবার্তা চলে। তবে আদালতে ওই ১৪ যুবনেতা জামিন পেয়ে যাওয়ায় এবার শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করল ত্রিপুরা পুলিশ। মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধেও। এদিকে এই ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। বিজেপি ভয় পেয়েছে তাই যা খুশি তাই করে চলছে।

ত্রিপুরা পুলিশের মামলার ঘটনায় এদিন রীতিমতো তোপ দেগে পরপর টুইট করেন কুণাল ঘোষ। এফআইআর এর কপি সহ টুইটে তিনি লেখেন, “অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।ভয় পেয়েছে বিজেপি।” পাশাপাশি সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত দিয়ে আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, “অভিষেক এবং আমরা কোর্ট যেতে বাধা দিইনি।
1) ধৃতদের section জানতে চেয়েছি।
2) এসকর্ট দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করছি।
3) আইনজীবী আসা পর্যন্ত সময় চেয়েছি।
4) bjp থানা ঘিরেছিল।
4) আমরাই ওদের নিয়ে কোর্টে বেরিয়েছি।
5) কোর্টে সেদিন পুলিশ কোনো এরকম অভিযোগ করেনি।
এখানেই না থেমে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা আসল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার চেয়েছি। তাদের ছবিও অনেকের কাছে রয়েছে। তার বদলে আক্রান্তরা গ্রেপ্তার। প্রতিবাদীরা গ্রেপ্তার। আইন মেনে ছাড়াতে যাওয়ারা গ্রেপ্তার।”

 

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...