দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে কমিশনকে পাল্টা চিঠি দিচ্ছে তৃণমূল

ভোটের একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও রাজ্যের বকেয়া ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (West Bengal By-Election) ফের তৈরি হল “অনিশ্চিতয়তা”! গত ৫ অগাস্ট ইভিএম (EVM) পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, উপনির্বাচন ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা (Corona) পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি, কলকাতায় কমিশনের সিইও (CEO) দফতের কিছু তৎপরতা দেখে মনে করা হচ্ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হয়তো বা উপনির্বাচন সাঙ্গ করবে কমিশন।

কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার হঠাৎ কোভিড বিধি (Covid Protocols) মেনে কি নির্বাচন, উপনির্বাচন করা সম্ভব, এ নিয়ে রাজ্যের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তার উত্তর দিতে হবে ৩০ অগাস্টের মধ্যে। আর তাতেই “ডাল ম্যায় কুছ কালা হ্যায়” দেখছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- শুধু রাহুল নয়, টুইটার হ্যান্ডেল লক করা হয়েছে দলের এবং কংগ্রেসের আরো পাঁচ নেতার

এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলি উপনির্বাচ নিয়ে ব্যাগরা দিতে পারে। কারণ, এই মুহূর্তে রাজ্যের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে ভোট হলে সবকটি আসনেই তৃণমূলের (TMC) জয় নিশ্চিত। সূত্রের খবর, কমিশনের জবাবি চিঠিতে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি করবে তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিসংখ্যান ও তথ্য দিয়ে জানানো হবে, রাজ্যে করোনার রেখচিত্র এখন নিয়ন্ত্রণে। সমস্ত কোভিড বিধি মেনে তাই নির্বাচন সম্ভব। প্রচারের জন্য ৭ দিন সময় দিলেই হবে।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কমিশন চিঠি দিয়ে মতামত জানতে চেয়েছে। আমার সময়ের মধ্যে তা জানিয়ে দেব।”

আরও পড়ুন- কোভিড বিধি মেনেই বিধানসভায় পালিত হল বনোমহোৎসব

উল্লেখ্য, ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। আরও ৫টি কেন্দ্র দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবায় নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচন চেয়ে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। একই দাবিতে রাজ্যেও কমিশনের সিইও দফতরে অফিসে শাসক দলের নেতারা।
advt 19

 

Previous articleকোভিড বিধি মেনেই বিধানসভায় পালিত হল বনোমহোৎসব
Next articleএক টেবিলে বিমল-বিনয়, পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ!