পাখির চোখ ত্রিপুরা: ‘বামেরা দলে আসতে চাইলে স্বাগত’, বার্তা ব্রাত্য-কুণালের

একুশের ময়দানে বিজেপিকে(BJP) পর্যুদস্ত করার পর তৃণমূলের(TMC) লক্ষ্য এখন ২৩-এর ত্রিপুরা(Tripura)। বিজেপিকে ত্রিপুরা থেকে উপড়ে ফেলতে বিপ্লব দেবের রাজ্যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের যাতায়াত বেড়েছে যথেষ্ট ভাবেই। ত্রিপুরাকে বিজেপি মুক্ত করতে এবার সেখানকার বাম নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(BratyaBasu) ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

‘খেলা হবে’ দিবস পালন করতে শুক্রবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন ব্রাত্য বসু, অপরূপা পোদ্দার সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। শুক্রবার ত্রিপুরায় শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৩০ জন কংগ্রেস নেতা কর্মী। আর সেখান থেকেই ত্রিপুরার বাম নেতাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এখানকার বাম নেতাদের সঙ্গে ত্রিপুরার বাম নেতাদের একটা চরিত্রগত বৈশিষ্ঠ রয়েছে। তাঁরা গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি বোঝেন। তাঁরা অনেক বেশি বাস্তববাদী। তাঁরা জানেন একমাত্র বিজেপির মোকাবিলা করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল। তাই তাঁদের কেউ কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চান আসবেন।” যদিও বাম তৃণমূল জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “বামেদের সঙ্গে জোট হবে না। তবে বাম নেতাদের কেউ আসতে চাইলে, স্বাগত।”

আরও পড়ুন:অপসারিত মহুয়া দাস, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য

অন্যদিকে আজ কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ত্রিপুরার বাম ও কংগ্রেস নেতাদের তৃণমূলে স্বাগত জানান, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় বামেদের নীতি বাংলায় বামেদের নীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ত্রিপুরার মানুষ দেখেছে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিতে সক্ষম তৃণমূল। বাংলায় জনকল্যাণমুখী একের পর এক প্রকল্প। ত্রিপুরার মানুষ বাম দেখেছে রামও দেখেছেন কিন্তু তাদের সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এবার ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে চাইছেন। ত্রিপুরার বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব যারা আছেন তারা আসুন। আপনারা এগিয়ে এসে তৃণমূলকে সমর্থন করুন। সিপিএমের সঙ্গে ত্রিপুরায় জোট হবে কি হবে না সেটা বিষয় নয়, তবে ত্রিপুরায় মানুষের মহাজোট তৈরি হচ্ছে।”

পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “বিজেপি যদি ভেবে থাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা আর মামলা করে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করে তৃণমূলকে রুখে দিতে পারবে, তবে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ভয় পেয়ে আজ তাড়াহুড়ো করে মিছিল বের করেছে ওরা। এখন কেন ত্রিপুরার পুলিশ মহামারী আইনে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করছে না। এই আইনে কি বিজেপির ছাড় রয়েছে?” প্রশ্ন তোলেন কুণাল।

advt 19

 

Previous articleএএফসি কাপ খেলতে শনিবার মালদ্বীপ উড়ে যাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান
Next articleত্রিপুরা: অভিষেক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, খারিজের দাবিতে পাল্টা হাইকোর্টে তৃণমূল