শুরুতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে তবে শেষ বেলায় এসে সেই অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হল। যার ফলে মোদি রাজ্য গুজরাটে(Gujrat) খেলা হবে(Khela Hobe) দিবস আদৌ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে স্কুল মাঠে ফুটবল ম্যাচের(football match) আয়োজন হয়েছিল শেষ মুহূর্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে রাজি হয়নি। ঘটনার পিছনে কদর্য রাজনীতি দেখছে ঘাসফুল শিবির।

শুরুতে গুজরাটের স্থানীয় তৃণমূল(TMC) নেতৃত্বকে হবে দিবস পালনের শর্ত দেওয়া হয়েছিল করোনা বিধি মানতে হবে। সেইমতো ফুটবল ম্যাচের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র খাদাওয়াতা। ঠিক হয় নেতাজি সুভাষ ও ভগত সিং দুটি দলে ভাগ হয়ে খেলা হবে। সেই মতো জার্সি, ট্রফিও তৈরি হয়ে যায় রাতারাতি। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিজেদের ভোল পাল্টে ফেলে প্রশাসন। গুজরাটের গোধরার যে স্কুল মাঠে এই খেলা হওয়ার কথা ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয় উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে করোনা পরিস্থিতিতে এই ম্যাচ বাতিল করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:সিপিআইএমের তারুণ্যের নীতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন কারা?

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল। মাধ্যমিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই জানিয়েছিল তাঁরা সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে এই কর্মসূচি পালন করবে। ঠিক কী কারণে শেষ মুহূর্তে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দান থেকে বিরত হল এই স্কুল তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। যদি করোনাই কারণ হয় তাহলে ওদের জানা উচিত ফুটবল ম্যাচ ১১ জনে খেলা হয়, একজন রেফারি থাকে এবং দুজন লাইন্সম্যান। সব মিলিয়ে একটি মাঠে ৫০ জনের বেশি থাকার কথাও নয়।

শুধু তাই নয় এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “বিজেপি তো কথায় কথায় স্বামী বিবেকানন্দর কথা টেনে আনে। তারা কি জানেন তরুণসমাজকে ফুটবল খেলতে উদ্বুদ্ধ করতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাদের নেতারা তো রবীন্দ্রনাথ কোথায় জন্মেছিলেন, মাতঙ্গিনী হাজরা কোথায় জন্মেছিলেন তাও জানেন না। বিজেপি এবং আরএসএস খুব ভালো করে জানে কী ভাবে ছেলেদের হাতের লাঠি বা অন্যান্য অস্ত্র তুলে দেওয়া যায়। যা পরে গন্ডোগোল বাধাতে কাজে লাগবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল গুজরাটে। এই কারণেই ফুটবল সম্পর্কে তাদের কোনো ধারনাই নেই। আমি চূড়ান্ত প্রতিরোধ করছি এই ধরনের ফ্যাসিবাদি আগ্রাসনের।”
