ত্রিপুরা: সায়নী পৌঁছতেই চাঙ্গা যুব সমাজের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক

একুশে বাংলায় অভূতপূর্ব ফলাফলের পর এবার তৃণমূলের (TMC) লক্ষ্য তেইশের ত্রিপুরা (Tripura)। তাই ২১ জুলাইয়ের পর থেকে কার্যত নিয়ম করে পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন দলের নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী-সাংসদরা। এমনকী, সেখানে দু’বার ঘুরে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek nBanerjee)। সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা। খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ত্রিপুরা নিয়ে খুব সিরিয়াস। তাই নেতা-নেত্রীরা লাগাতার আক্রান্ত বা গ্রেফতার হলেও হাল ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবির।
তারই অঙ্গ হিসেবে এবার ত্রিপুরায় যুব সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে সেখানে পৌঁছছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। গতকাল, খেলা হবে দিবসের দিন আগরতলায় পা রেখেই বিজেপি তথা বিপ্লব দেব প্রশাসনকে তোপ দাগেন তিনি। ২০২৩-এ বিপ্লব দেবের রাজ্যে যে থাবা বসাতে চলেছে তৃণমূল, তা স্পষ্ট ভাষায় জানান একুশের বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী।
সায়নী ঘোষের কথায়, “এর আগে যুবরা এসেছে। মা ত্রিপুরেশ্বরীর কাছে আমিও এলাম। আসতে তো হবেই। এখানে তৃণমূলের সংগঠন হবে। খেলা হবে।” ত্রিপুরার বুকে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে সায়নী বলেন,  “বিজেপি যত বেশি আক্রমণ করবে, মানুষ তত ওদের থেকে সরে যাবে। এটা বাংলাতেও হয়েছে। ত্রিপুরাতেও হবে। ত্রিপুরাবাসীর কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পাঙ্গা নিলে, উনি আরও বেশি চাঙ্গা হন। তৃণমূলকে এভাবে আটকানো যাবে না।” অন্যদিকে, সোমবারই গ্রেফতার হওয়া আমবাসার স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
এদিকে সায়নী ঘোষ ত্রিপুরায় পৌঁছতেই সে রাজ্যের যুব সমাজের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রবল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার আগরতলার হোটেল পোলো টাওয়ারে সায়নী ঘোষের হাত ধরে বিভিন্ন দলের যুব নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় এখন তৃণমূলের বসন্তের ছোঁয়া।

advt 19

Previous articleত্রিপুরা: লাগাতার আক্রান্ত তৃণমূল, ফের সরব মানিক সরকার
Next articleগ্যাসের দাম বাড়ার জবাব নেই, বিজেপি ব্যস্ত শহিদ সম্মান যাত্রায়