সিবিআই “খাঁচাবন্দি তোতা”: মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের! ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন শুভেন্দু, কটাক্ষ কুণালের

আট বছর আগে মামলায় সিবিআই (CBI)-কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Suprime Court) মন্তব্য ফের সামনে উঠে এলো। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললো মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। সিবিআই-কে “খাঁচায় বন্দি” করার অভিযোগে সরাসরি কেন্দ্রকে দুষল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতা নয়। নির্বাচন কমিশনের মতোই স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। একে স্বাধীন ভাবেই থাকতে দেওয়া হোক।”

কিন্তু কেন এমন মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের? জানা গিয়েছে,
একটি চিটফান্ড মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানে সিবিআই-এর স্বাধীনতা এবং তদন্তে
স্বাতন্ত্রের উপর জোর দেন দুই বিচারপতি এন কিরুবকরণ এবং বি পুগালেন্ধি। তাঁদের কথায়, ‘‘সিবিআই-এর শুধুমাত্র সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। আমরা চাই না সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতা হয়ে থাকুক।’’

বর্তমানে সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে তাদের বিভিন্ন কাজ ও তদন্তের জবাবদিহি করে। প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলনেতা, এই তিন সদস্যের কমিটি সিবিআই প্রধান নিযুক্ত করার দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের মতে, সিবিআই প্রধানের ক্ষমতা একজন সরকারি সচিবের সমান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এবং ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো সুযোগ ও স্বাধীনতা পাওয়া উচিত সিবিআই আধিকারিকদের। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-কে নিজেদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরার কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মাদ্রাজ হাইকোর্টের এমন মন্তব্যে স্বভাবতই খুশি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “যেহেতু এটা আদালতের বক্তব্য, তাই সরাসরি মন্তব্য করবো না। কিন্তু অতীতেও বহুবার এমন বিষয় উঠে এসেছে সিবিআই সম্পর্কে। সিবিআই-তে অনেক যোগ্য ও দক্ষ অফিসার আছেন। কোনও তদন্ত কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তা ভালোই জানেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। তাদের উপরে যারা আছেন, সেই রাজনৈতিক নেতারা প্রভাব খাটান। আসলে বিজেপি তাদের মতো করে সিবিআই-কে চালাতে চায়। সিবিআই তদন্ত কোন পথে চলে কখনও কখনও তারাই ঠিক করে দেয়। সেই জায়গা থেকেই সিবিআই-এর প্রতি ক্রমশ ভরসা ওঠা থেকে বারেবারে এমন মন্তব্য করছে আদালত। সিবিআইকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে এই বিষয়গুলি উঠে আসতো না। আর সিবিআই কীভাবে কাজ করছে বা তার কারণে আদালত কেন এমন মন্তব্য করছে, শুভেন্দু অধিকারী তার সঠিক ভাব সম্প্রসারণ করতে পারবে।”

আরও পড়ুন:তালিবানি শাসন চায় না আফগান জনতা!

 

Previous articleতালিবানি শাসন চায় না আফগান জনতা!
Next articleকবে থেকে চলবে লোকাল ট্রেন? নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী