দিল্লিতে বিরোধীদলের ভার্চুয়াল বৈঠকে মধ্যমণি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Bandopadhyay)। আর সেখান থেকে বিজেপি (Bjp) বিরোধী শক্তিকে একজোট করার বার্তা দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই বার্তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। শুক্রবার, বিকেল চারটেয় বৈঠকে বসে তৃণমূল (TMC), কংগ্রেস (Congress), এনসিপি (NCP), ডিএমকে (DMK), শিবসেনা (Shiv Sena), জেএমএম (Jmm), সিপিআই (CPI), সিপিআইএম (CPIM), ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরজেডি, এআইইউডিএফ, বিধুথালাই চিরুথাইগাল কাটচি, লোকতান্ত্রিক জনতাদল, জেডি(এস), আরএলডি, আরএসপি, কেরালা কংগ্রেস (এম), পিডিপি এবং আইইউএমএল। এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সোনিয়া, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, সীতারাম ইয়েচুরিরাও। তবে, সমাজবাদী পার্টির অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে। ছিল না বিএসপি-ও।

বিরোধী ঐক্যে সলতে পাকানো কাজটা এবারের দিল্লি সফরে করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী ঐক্যের ছবি বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। এদিন, ফের বৈঠকে বসেন ১৯টি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। আলোচনায় উঠে আসে, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি একত্র হয়ে জোট বেঁধে লড়াই করলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারবে। পেগাসাস থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি- এই সমস্ত বিষয়গুলিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে লাগাতার মোদি সরকারের উপর চাপ দেওয়ার ডাক দেন সোনিয়া গান্ধী। এই বিষয়ে একটি কোর গ্রুপ তৈরি করার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধী বলেন, এক্ষেত্রে রাজ্যের ইস্যুগুলিকে আপাতত সরিয়ে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরানোর বিষয়টিকেই পাখির চোখ করতে হবে। তাঁর এই কথায় সমর্থন জানান শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা।

আরও পড়ুন- RSS প্রচারক অরবিন্দ মেননের বিয়ে, কটাক্ষ বিজেপির জয়ের

সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু থেকেই পেগাসাস থেকে কৃষি আইন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে জোটবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূলসহ অন্যান্য বিরোধীদল। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বৈঠকে বসেছেন বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীরা। সেই ইস্যুগুলিকেই সামনে রেখে আগামী দিনে জোটকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায় তারই রূপরেখা তৈরি শুরু হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- এবার জরুরিকালীন ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য জাইডাস ক্যাডিলার টিকাকে অনুমোদন DCGI -এর
