মৃত্যুকে আমিই হারাতে পারি, পোস্টের পরেই চলে গেলেন পিলু

মাত্র দিন দুয়েক আগের কথা। নিজের ফেসবুক পেজে (Face Book) পোস্ট দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য (Pilu Bhattacharya)। লিখেছিলেন মৃত্যুকে হারিয়ে দিয়ে জীবনযুদ্ধে ফিরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে ছিল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাধীন কিছু ছবির কোলাজ। আর সেই পোস্টে ছিল তাঁর অসংখ্য গুনগ্রাহী এবং বন্ধুদের শুভেচ্ছা বার্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছুকে হারিয়ে দিল মৃত্যুই। প্রয়াত সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য। বুকে ব্যথা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ফের বুকে ব্যথা শুরু হয়। ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর।

পিলু ভট্টাচার্যের পুত্র ঋতর্ষি ভট্টাচার্য (Ritorshi Bhattacharya) বাবার ফেসবুক পেজেই মৃত্যু সংবাদ জানান। লেখেন,
“অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার বাবা পিলু ভট্টাচার্য আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন।”

প্রাণোচ্ছল পিলু ভট্টাচার্যের শুধু সংগীতশিল্পী হিসেবে না জনপ্রিয় ছিলেন আমুদে মানুষ হিসেবেও। প্রথম জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে তাকে ধীরে ধীরে সংগীত জগতে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। গান গাওয়ার পাশাপাশি শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। মৌলিক কানেও যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়ে ছিলেন পিলু। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ সংগীত মহল।

আরও পড়ুন:ত্রিপুরা: চাকরির পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের! কটাক্ষ কুণালের