লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বেনিয়ম ও জালিয়াতি রুখতে কড়া রাজ্য, নতুন নির্দেশিকা নবান্নের

সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে শুরু হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “দুয়ারে সরকার” প্রকল্প খুব অল্পদিনেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে বাংলার মহিলাদের জন্য ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’’র ফর্ম ফিল আপে নয়া বিধি, জালিয়াতি রুখতে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য প্রসাশন। তবে মানুষের মধ্যে কিছু অভিযোগ ও ক্ষোভও আছে। অভিযোগ, এই প্রকল্পকে আরও সুষ্ঠ ও সফল করে তুলতে বিভিন্ন শিবিরে রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের কাজ সঠিকভাবে পালন করছেন না। বরং, নতুন করে স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

এবার বিষয়টি নিয়ে আরও তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কোথাও কোনও বেনিয়ম দেখলেই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার পথেই হাঁটতে চলেছে নবান্ন। তাই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পরে গত এক সপ্তাহেও বিভিন্ন জায়গায় দুয়ারে সরকারের শিবিরে ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে সংঘটিত না হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদের মত বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। শিবিরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা বৈঠক করেন। শিবিরে শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিক ও সাধারণ মানুষ ছাড়া অন্য কেউ যুক্ত হতে পারবে না বলে সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও অনেক জায়গা থেকেই বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা শিবিরে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রকল্পের ফরম পূরণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। মুখ্যসচিব দ্রুত এইসব ঘটনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়, মন্তব্য পপস্টার আরিয়ানা সইদের

জানা গিয়েছে, নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মী বা সদস্য অথবা ক্লাব সদস্যদের শিবিরের বাইরে রাখার কথা বলেছেন তিনি। প্রয়োজনে শিবিরগুলোতে লোকবল বাড়াতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং আশা কর্মীদের যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে সেখানে।

আরও পড়ুন- মমতার হাত ধরে বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য, বলছে মোদি সরকারের রিপোর্ট কার্ড! advt 19

 

Previous article‘আমরা আশাবাদী ইতিবাচক কিছু ঘটবে’ : দেবব্রত সরকার
Next articleপুনর্নিয়োগ বা মেয়াদবৃদ্ধি আর নয়, এবার নতুনদের চাকরি দিতে চায় রাজ্য