লাল-হলুদের মান বাঁচাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি শিবিরে নৌকা ভিড়িয়েও লাভ হল না নীতুদের

ক্লাব বাঁচাতে, মান বাঁচাতে, সমর্থকদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের শেষ পারানির কড়ি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা আর একবার প্রমাণিত হলো। নিজেদের কৃতকর্মের ফল ঢাকতে লাল-হলুদকে কার্যত আইএসএল থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন দেবব্রত সরকার আর তার সঙ্গী-সাথীরা। সরে যাচ্ছিল লগ্নিকারীরা। অথৈ জলে পড়ত কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের অন্যতম স্তম্ভ। এই ডামাডোলের মধ্যে আবার রক্ষাকর্তা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি গতবছরও ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএল খেলার ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন লগ্নিকারীর ব্যবস্থা করে।

 

কিন্তু সুবিধাবাদী ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা শুভানুধ্যায়ী মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ না নিয়ে নতুন লগ্নিকারী খুঁজতে নৌকা ভিড়িয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। মধ্যস্থতা করছিলেন সাংসদ তথা বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কাছে দরবার করেছিলেন দেবব্রত সরকাররা। দিলীপ তাঁর এক পরিচিত নেতাকে সামনে রেখে কথা শুরু করেছিলেন। কিন্তু আলোচনা শুরু করে স্বত্ত্ব নিয়ে জেদাজেদি করে সেখানেও ইতিবাচক রাস্তা খোলা যায়নি। ঘেঁটে দিয়েছেন কর্তারা। যা নিয়ে খোদ দিলীপবাবুও অসন্তুষ্ট ছিলেন। এরপরই ‘বিজেপি লাইন’ থেকে সরে এসে ইস্টবেঙ্গলের নীতুরা ফেরেন পুরনো ভরসার জায়গায়।

সেখান থেকেই ফের নতুন আলোর সন্ধান। কাল, বুধবার দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা মিটে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আইএফএ-র কলকাতা লিগের সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম রয়েছে। এই ঘটনা কিসেএ ইঙ্গিত দিচ্ছে।

advt 19

 

Previous articleবিশ্বভারতী: উপাচার্যের রাজরোষ, তিন পড়ুয়ার পর এবার বরখাস্ত দুই অধ্যাপক
Next articleশিল্পায়নের “অবাস্তব” স্বপ্ন, সংযুক্ত মোর্চা গঠন ভুল ছিল! এবার লিখিত স্বীকারোক্তি সিপিএমের