আমেরিকার ফেলে আসা ৭৩টি বিমান, গাড়ি ‘রকেট ডিফেন্স সিস্টেম’গুলি কোনওদিন চালাতে পারবে না তালিবানরা

আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমনে ২০০১ থেকে হাজার হাজার সৈন্য থেকে শুরু করে বিমান, অস্ত্র অনেক কিছুই পাঠিয়েছে আমেরিকা। তবু শেষ রক্ষা হল না। ২০ বছর পর ফের ইতিহাসের পুনরাবৃ্ত্তি ঘটিয়ে কাবুল তালিবানদের দখলে।
আর ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ করে নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কাবুল ছেড়েছে মার্কিন সৈন্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল আমেরিকার ফেলে আসা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে কী করবে তালিবান? কী হবে আমেরিকার ওই সব অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট বা গাড়িগুলির ভবিষ্যৎ? এই বিষয়ে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে আমেরিকার ফেলে আসা বিমান কোনওদিন আর ওড়ানো যাবে না। কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগেই সেগুলিকে বিকল করে দিয়েছে তারা ।
সেই তালিকায় শুধুমাত্র এয়ারক্রাফট নয়, সেই সঙ্গে রকেট হামলার মোকাবিলা করার বিশেষ ‘রকেট ডিফেন্স সিস্টেম’গুলিও বিকল করে দিয়েছে তারা। হামি কারজাই বিমানবন্দরে আগেই নিয়ে আসা হয়েছিল মার্কিন সেনার অন্তত ৭৩টি বিমান। চেষ্টা করলেও তালিবান বা অন্য কেউ আর ওড়াতে পারবে না সেগুলি। অকেজো হয়েই আফগানিস্তানের মাটিতে পড়ে থাকবে সেগুলি। শুধু এয়ারক্রাফট নয়, হামভিজ নামে বেশ কয়েকটি গাড়িও ফেলে গিয়েছে আমেরিকা। শেষ বিমানে সব কিছু নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তা আগে ভাগেই অনুমান করেছিল তারা। তাই তালিবান যাতে সেগুলো ব্যবহার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাই করে এসেছে।

আরও পড়ুন – ভারতে মমতার বিকল্প নেই, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই : তৃণমূলে ফিরে বললেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস
মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, আগে থেকেই ৭৩টি বিমান নিয়ে আসা হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরে। আর সেগুলি সবই বিকল করে দেওয়া হয়েছে। গত দু সপ্তাহ ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পর বিকল করা হয়েছে সেগুলি। জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘ওগুলো আর কোনওদিনই উড়বে না। ওরা কোনওদিন সেগুলো ওড়াতে পারবে না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্তত ৭০টি সাজোয়া গাড়িও ফেলে এসেছে আমেরিকা, আর সেগুলিও চালাতে পারবে না তালিবান। ওই গাড়িগুলির একেকটির দাম ১০ লক্ষ ডলার বলে জানা গিয়েছে। গত ১৪ অগস্ট যে এয়ারলিফট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছিল ৬০০০ সৈন্য।
এ ছাড়া রকেট হামলার মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকার বিশেষ সিস্টেমও রেখে গিয়েছে তারা। সোমবারও ইসলামিক স্টেটের হামলার হাত থেকে রক্ষা করেছে ওই সিস্টেম। সেটাও বিমান ছাড়ার আগে বিকল করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এগুলি সব কার্যকর করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পেন্টাগনের তরফে।কিন্তু এগুলি ভেঙে ফেলা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই এগুলি নিস্ক্রিয় করে দিয়েছে তারা।

advt 19

 

Previous articleভোটের সময় নন্দীগ্রামে পায়ে চোট মুখ্যমন্ত্রীর, তদন্তে নেমে বিরুলিয়া বাজারে CID
Next articleআফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন মোদির