আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার রদবদল, বিপ্লবেই আস্থা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, ক্ষোভে ফুঁসছেন সুদীপ

একের পর এক বৈঠক। দিল্লিতে (Delhi) ডাক রাজ্য নেতাদের। সংগঠনে দুই লবির শক্তি পরীক্ষা। সবদিক বিবেচনার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতে আজ, মঙ্গলবার বিজেপি (BJP) মন্ত্রিসভায় (Cabinet) বহুপ্রতীক্ষিত রদবদল হতে চলেছে ত্রিপুরায় (Tripura)। সূত্রের খবর, আজ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন পাবিয়াচেরা বিধায়ক ভগবান দাস, সূর্যমনিনগরের রামপ্রসাদ পাল ও মজলিশপুরের সুশান্ত চৌধুরী। ত্রিপুরার রাজনীতিতে যাঁরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিপ্লব দেব (Biplab Dev) ঘনিষ্ঠ ও তাঁর শিবিরের নেতা বলেই পরিচিত। স্পষ্টতই কেন্দ্রের নেতাদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিপ্লব বিরোধী শিবিরের মাথা সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার, আজ একসঙ্গে শপথ নেবেন ৯ বিচারপতি

আগরতলার বিজেপি বিধায়ক তথা ত্রিপুরার অন্যতম সিনিয়ির লিডার সুদীপবাবু ইচ্ছা ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ আশিস সাহা মন্ত্রিসভায় জায়গা হোক। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হওয়ার নয়। দলকে চাপে রাখতে দিন-দুয়েক নিজের লবির নেতাদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনের ধাঁচে একটি অনুষ্ঠান করেন সুদীপ রায় বর্মন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ দলকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। প্রদর্শন করেছিলেন তাঁর শক্তি। কিন্তু সুদীপের এই স্ট্র্যাটেজি এবারেও খাটলো না। লবির লোককে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে পারলেন না তিনি।

শুধু তাই নয়, ত্রিপুরায় যে বিজেপি বিরোধীদের উপর তান্ডব চালাচ্ছে সেকথাও মেনে নেন সুদীপ রায় বর্মন। প্রকাশ্যেই মন্তব্য করে বলেন, রাজ্যজুড়ে হামলা হুজ্জুতি বন্ধ হওয়া উচিত। অর্থাৎ, পরোক্ষে বিপ্লব দেব প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন সুদীপবাবু। তার পরও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আস্থা রাখছে বিপ্লব দেব শিবিরের উপর।

ফলে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্ত্রিসভার রদবদলের পর বিক্ষুব্ধ সুদীপ রায় বর্মনের বিজেপি তথা বিপ্লব দেবের প্রতি বিদ্রোহের মাত্রা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগরে তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে দল ছাড়তে পারেন সুদীপ।

advt 19

 

Previous articleডেডলাইন শেষের আগেই আফগানভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহার করল আমেরিকা
Next article১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু রঞ্জি ট্রফি, কলকাতায় হতে পারে নক আউটপর্ব-সহ ফাইনাল ম‍্যাচ